ভারতে গত পাঁচদিনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমেছে। শতাংশের বিচারে গত পাঁচদিনে তা কমে একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। বর্তমানে দেশে ভায়ঙ্করভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশেরও নিচে। মার্চের শুরু থেকে এহেন প্রবণতা এই প্রথম লক্ষ্যণীয়। তবে, যত বেশি নমুনা পরীক্ষা হবে ততই স্পষ্ট হবে যে, এই প্রবণতার বিষয়টি।
Advertisment
করোনা বাড়া-কমার বিষয়টি কমপাউন্ড দৈনিক বৃদ্ধির উপর নির্ভর করে। গত ১১ এপ্রিল দেসে করোনা আক্রান্ত ছিলেন ৮,৪০৮ জন। শতাংশের বিচারে সেই সময় বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৬৫। তবে, মার্চে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। সেই সময়কালে বৃদ্ধির হার ১১ থেকে বেড়ে ২৬ শতাংশে পৌঁছায়।
১ থেকে ২৪ মার্চ, লকডাউনের আগে পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রত্যেকদিন ছিল প্রায় ২৫.১ শতাংশ। তবে এর পরে গ্রাফ কিছুটা কমে হয় ২২.৭ শতাংশ। যা ছিল উল্লেখযোগ্য। এপ্রিলের শুরুতে লকডাউনের প্রাথমিক জের বলেই এই হ্রাসকে মনে করা হয়েছিল। গত ১০ দিনে করোনা পজেটিভের সংখ্যা মাত্র ১০.৮৮ করে বেড়েছে। তবে, ১৫ এপ্রিল করোনা পজেটিভের সংখ্যার হার লক্ষ্যণীয়ভাবে কমে। মাত্র ৮৬২ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হন। শতাংশের বিচারে যা গত ২০ দিনের থেকে অনেকটাই কম।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ২৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়। বর্তমানে যা বেড়ে হয়েছে ৩ মে পর্যন্ত। লকডাউনের জেরেই সংক্রমণের হার কমছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ১৩ এপ্রিলল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছিল যে, ৬ই এপ্রিল থেকে লকডাউনের প্রভাব বোঝা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য ছিল, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া হবে প্রায় ২০ হাজার। লকডাউন বলবৎ না হলে যা হতে পারত প্রায় ৩৫ হাজার।
গত ২৪ দিন ধরে গৃহবন্দি দেশ। এর ফলে করোনাভাইরাস ভাইরাস ছড়াতেও পারেনি। কমেছে ভাইরাসের প্রজননের হারও বিজ্ঞানীদের দাবি, লকডাউন জারির আগে যেখানে ১০০ জন করোনা আক্রান্তের থেকে ১৮৩ জনের সংক্রমণ হত সেখানে বর্তমানে তা কমে হয়েছে ১৫৩ জন।