পাঁচমাস আগে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা (এনডিএমএ) এসএমএস-এর মাধ্যমে দেশের মানুষের ফোনে পৌঁছে দিতে চেয়েছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কবার্তা। কিন্তু টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারীদের অতিরিক্ত মেসেজের জ্বালায় অধিকাংশ গ্রাহক 'ডু নট ডিসটার্ব' ঝুলিয়ে রেখে দেন ফোনে। যার ফলে এই ধরণের মেসেজ পৌঁছোতে পারবে না। এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল ব্যাপারটি দেখার জন্য।
জুলাই মাসে গোটা বিশ্ব সাক্ষী থাকে কেরালায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের। তারপরেই আসামে বন্যা, ও ওড়িশা এবং অন্ধ্র প্রদেশে সাইক্লোন তিতলির প্রকোপ। এনডিএমএ এই বছরের শুরুতে তাদের Common Alerting Protocol (CAP) সিস্টেম পরীক্ষা করার সময় ডিএনডি বা ডু নট ডিস্টার্ব ফিচারের জন্য সমস্যার সন্মুখীন হয়। ১৩ নভেম্বর ভারতীয় টেলিযোগাযোগ বিভাগ নিয়মবিধি জারি করে, এবং মোবাইল অপারেটরদের বলা হয়, DND-র আওতায় থাকা ফোনগুলিও যেন সতর্কবার্তা পায়।
আরও পড়ুন: বিপদ আসার আগেই জানান দেবে ডিভাইস, গবেষণায় বাঙালি বিজ্ঞানী
ডিওটি জুলাই মাসে এক চিঠিতে এনডিএমএ-কে জানায় "পরীক্ষাটি অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, কেরালা, তামিলনাড়ু, উত্তরাখন্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যগুলিতে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জম্মু কাশ্মীর রাজ্যে সিএপ সিস্টেমটি চালানো হবে যাঁরা অমরনাথের যাত্রা করেন তাঁদের উদ্দেশে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব অনিল কুমার সাংঘি বলেন, আগে থেকে সতর্কবার্তা পেলে অনেক প্রাণ বাঁচার সম্ভাবনা থাকে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা এবং টেলিকম নেটওয়ার্কগুলি একত্রিত হয়ে এই কাজটি করবে। এটির পরিকল্পনা করা হয় কেরালার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়। কিন্তু টেলিকম শিল্প প্রতিনিধিদের মতে, কর্তৃপক্ষের এই সিস্টেমের প্রোটোকলের কার্যকারিতা নিয়ে আগে ভাবা উচিত ছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সহ বিভিন্ন সংস্থার অনুরোধের ভিত্তিতে টেলিকম অপারেটররা দুর্যোগের তথ্য প্রকাশ করে থাকে। ইতিমধ্যে প্রায় এক লক্ষ মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছেছে এই তথ্য, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন ভারতের সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক রাজন ম্যাথিউজ।
Read the full story in English