মর্মান্তিক! কেদারনাথ যাওয়ার পথে 'পিঠু' থেকে খাদে পড়ে মৃত্যু ৫ বছরের শিশুপুত্রের। ওই শিশুটি পরিবারের সঙ্গেই উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে যাচ্ছিল। পরিবারের অন্যরা হেঁটে উঠলেও শিশুটিকে এক ব্যক্তির 'পিঠু'-তে বসিয়েছিলেন তাঁরা। সেই 'পিঠু' থেকেই আচমকা পাহাড়ি গভীর খাদে পড়ে যায় শিশুটি। তীর্থযাত্রীকে যে ব্যক্তি তাঁর পিঠে রাখা একটি ঝুড়ির মতো পাত্রে নিয়ে ওপরে ওঠেন তাকেই বলে 'পিঠু'। পাহাড়ি ওই ব্যক্তিরাও 'পিঠু' বলেই পরিচিত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নেপালি ব্যক্তির পিঠে চেপে কেদারনাথ যাত্রা করছিল শিশুটি। গাফিলতির কারণেই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ, পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে। তবে ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না অভিযুক্তের। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের লিঞ্চোলির কাছে গৌরীকুন্ড থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে পার্শ্ববর্তী ২০০ মিটার নীচের গভীর খাদ থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন- ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা! শিশুসহ ১৬ জনের মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মোদীর
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগ্রার এক দম্পতি তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে গত ৩০ জুন উত্তরাখণ্ডে এসেছিলেন। পরের দিন কেদারনাথ মন্দিরের উদ্দেশে তাঁরা ট্রেকিং শুরু করেছিলেন। খচ্চরে চড়ে গৌরীকুন্ড থেকে ভীমবালি পৌঁছানোর পর, দম্পতি তাদের ছোট ছেলে শিভয় গুপ্তের জন্য একটি পিঠু ভাড়া করেছিলেন। পরিবারের বাকি সদস্যরা পায়ে হেঁটে ওপরে উঠছিলেন। শিশুটিকে পিঠুতে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। এক সময় তার বাবা-মাকে পিছনে ফেলে শিশুটিকে নিয়ে এগিয়ে যান ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন- কিছুতেই যাচ্ছে না করোনা উদ্বেগ, আরও বাড়ল অ্যাক্টিভ কেস
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “হঠাৎই শিশুটি পিঠু থেকে গভীর খাদে পড়ে যায়। এরপরেই ওই ব্যক্তি আতঙ্কে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।'' পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ওই শ্রমিককে শনাক্ত করা যায়নি। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে, এই দুর্ঘটনার পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পুলিশ ও স্থানীয়দের সাহায্যে তারাই শিশুপুত্রের মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে বিশেষ দল তৈরি হয়েছে। তীর্থযাত্রীরা যাতে খচ্চর অপারেটর বা পিঠুদের নিয়োগের আগে তাঁদের সঠিক পরিচয় জেনে নেন, সেব্যাপারেও আবেদন জানানো হয়েছে।