গান্ধীজির নেতৃত্বে ঐতিহাসিক লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনের কথা কারওই অজানা নয়। ঐতিহাসিক ডান্ডি মার্চের ৯১তম বর্ষপূর্তিতে শুক্রবার প্রতীকী ডান্ডি মার্চের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন আমেদাবাদ থেকে এই প্রতীকী মিছিলের সূচনা হল। শেষ হবে আগামী ৬ এপ্রিল নবসারি জেলার ডান্ডিতে। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তির আগে ৭৫ সপ্তাহের কাউন্টডাউন হিসাবে 'স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব'- এই কর্মসূচির সূচনা হল।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানান। আর বলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবগাথা গোটা বিশ্বকে সূচিত করতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রাম ছাড়াও তিনি বলেছেন, ভাবনা, সাফল্য, পদক্ষেপ এবং সমাধান এই চারটি স্তম্ভের উপর ভারতের স্বপ্ন এবং কর্তব্য দাঁড়িয়ে আছে। প্রসঙ্গত, ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ আজকের দিনেই মহাত্মা গান্ধী ৮০ জনকে নেতৃত্ব দিয়ে ২৪ দিন ধরে ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে লবণ সত্যাগ্রহ মিছিল করেছিলেন। ইতিহাসের পাতায় তা ডান্ডি মার্চ নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে পথ ধরে মহাত্মা গান্ধী মার্চ করেছিলেন সেই পথ ধরেই ৮১ জনের একটি দল প্রতীকী মিছিল করবেন। ৭৫ কিমি রাস্তা পার করবেন তাঁরা। এদিন সেই মিছিলে অধিকাংশ বিজেপির কর্মীরা ছিলেন। তাঁদের শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল। এদিন মোদী বলেছেন, "ভারতে অথবা বিশ্বের যে প্রান্তেই আমরা থাকি না কেন, আমরা কঠোর পরশ্রিমের মধ্যে দিয়ে নিজেদের বারবার প্রমাণ করেছি। আমরা ভারতের সংবিধানের জন্য গর্বিত। আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য গর্বিত। গণতন্ত্রের মাতৃসম ভারত দেশের গণতান্ত্রিক ভিত আরও মজবুত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।"
তিনি আরও বলেন, "একটা সময় লবণ উৎপাদন ভারতের আত্মনির্ভরতার প্রতীক ছিল। ব্রিটিশরা সেটা মেনে নিতে পারেনি। ভারতকে ব্রিটেনে তৈরি লবণের উপর নির্ভরশীল হতে হয়েছিল। গান্ধীজি ভারতবাসীর এই কষ্ট-যন্ত্রণা বুঝতে পেরেছিলেন। তারপর তাঁর এই আন্দোলন গোটা দেশবাসীর আন্দোলনে পরিণত হয়।"