কিছুদিন আগেই কেরালায় ভয়াবহ বন্যার ছবি দেখেছে গোটা দেশ। সেই স্মৃতি ফিকে হতে না হতেই আবারও বন্যা বিপর্যয়ের ছবি সামনে এল। এবার প্রবল বন্যার মুখে উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য। আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে বানভাসি অবস্থা কার্যত। গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে ওই দুই রাজ্যে বন্যা বিপর্যয় নেমে এসেছে। এখনও পর্যন্ত দুই রাজ্য মিলিয়ে দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে একটি তিন বছরের শিশু।
আসামে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধিমাজি জেলার ১১৮ টি গ্রামের ২২,৬৮৯ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ৮০০ জনকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের কামালপুর গ্রামে বন্যার জলে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ বছর বয়সী বিজয় তাঁতির। ধেমাজি এলাকায় প্রায় ৪,০৭৮ হেক্টর কৃষি জমি জলের তলায় বলে জানা গিয়েছে। বন্যা বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে আসামের চিরাগ জেলাতেও।
আরও পড়ুন, বন্যার পর শুখা, ভোগান্তির শেষ নেই কেরালার
অন্যদিকে, ব্যাপক বৃষ্টির জেরে অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নদীর জল ফুলে ফুঁপে উঠেছে। নিউ সিয়াং ও লালি নদী এবং ব্রহ্মপুত্রের অন্য শাখা নদীগুলিতেও তার প্রভাব পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে বন্যা বিপর্যয় নেমে এসেছে রাজধানী ইটানগরেও। গত রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে রাজধানী শহরও কার্যত ভাসছে।
দুর্যোগে কোলাম বিয়ং নামে এক তিন বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির মা ও দিদি নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ টিম। সে রাজ্যে ২৯টি বাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ১০টি বাড়ি বন্যায় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাপুম পেরে জেলায় টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় বড়সড় ধ্বস নামে। যার জেরে ১০জন যাত্রী বোঝাই একটি গাড়ি চাপা পড়ে যায়। পরে যদিও সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে।