এবার রাজ্যে বিনিয়োগ করতে চলেছে দেশের প্রথম সারির ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। ইতিমধ্যে জমি চিহ্নিত করার কাজ হয়ে গিয়েছে। নদীয়ার হরিণঘাটায় একটি লজিস্টিক হাব তৈরি করবে ফ্লিপকার্ট। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২০,০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আগামী ছ'মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে বুধবার নবান্নে জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। প্রসঙ্গত, ছ'মাস আগেই রাজ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল ফ্লিপকার্ট।
বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করার মত সময় নেই সকলের। একদিকে সময় বাঁচানো, অন্য দিকে ঘরে বসে অর্ডার দিলে ঘরেই জিনিস চলে আসা। বেশ কিছু সুবিধার কারণেই ইন্টারনেটের বাজার এখন বেশ চাঙ্গা। পোষাক থেকে ঘর সাজানোর জিনিস, খাবার থেকে প্রসাধনী, বা ইলেকট্রনিক্স পণ্য, সবই এখন ঘরে বসে অর্ডার দিলেই মিলে যায়।
ইন্টারনেট বাজারের দুনিয়ায় ফ্লিপকার্ট এখন বেশ পরিচিত নাম। বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা ২০০৭ সালে ব্যবসা শুরু করেছিল। সারা ভারতে এখন বেশ চালু সংস্থা ফ্লিপকার্ট। এবার এ রাজ্যের বাজারে অন্যদের টক্কর দিতে নিজেরাই লজিস্টিক হাব করতে চলেছে। দেড় বছরের মধ্যে তারা প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করে দেবে বলে জানিয়েছে ফ্লিপকার্ট।
হরিণঘাটায় ৩৫৮ একর জমি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছে রাজ্য। যার মধ্যে সরকার ১০০ একর জমি বরাদ্দ করেছে ফ্লিপকার্ট প্রকল্পের জন্য। এছাড়া রাজ্যে অন্যান্য জায়গাও তাদের দেখানো হয়েছিল। ফ্লিপকার্ট কর্তৃপক্ষ এই জমিই পছন্দ করেছেন।
অমিতবাবু জানিয়েছেন, প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা প্রতি একর দরে ওই জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। নবান্নে আজকের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ফ্লিপকার্টের ওই প্রকল্পে ১৮,৩১০ জনের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া পরোক্ষে আরও কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ছ'মাসের মধ্যে ফ্লিপকার্টের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন। হরিণঘাটার প্রকল্পে ফ্লিপকার্ট প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে।