বর্ষা প্রবেশ করার পর থেকেই একের পর রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিতে ব্যহত জনজীবন। মহারাষ্ট্রের পর কর্ণাটকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্ণাটকের ১৩টি জেলা। এখনও পর্যন্ত বন্যা ও ভুমিধসে রাজ্যে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি বন্যার জলে ভেসে মোট ৬৫টি গবাদি পশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই শুক্রবার ১৩ জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বোমাই বলেন, “রাজ্যের উপকূলবর্তী, মালনাদ এবং সমতল অঞ্চলের অনেক এলাকায় গত তিন থেকে চার দিনে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ১৩টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বন্যার কারণে, ঘরবাড়ি ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যা ও ভুমিধসে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন”।
বৈঠকে ১৩ জেলার জেলাশাসকদের অবিলম্বে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মানুষজন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি অবিলম্বে ভুমিধস মেরামতের কথাও বলা হয়েছে । আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী তিন থেকে চার দিন রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং অন্যান্য বিভাগের কর্মীদের দুর্যোগের সময়ে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলায় জেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: <‘প্রচণ্ড স্রোত, চারিদিকে হাহাকার-কান্না’, বেঁচে আছি এটাই বড় কথা!>
বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির ক্ষেত্রে অবিলম্বে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বন্যার কারণে প্রাণহানি ফসলের ক্ষতি, গবাদি পশুর মৃত্যুর ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলি অবিলম্বে মেরামতেরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই। বন্যায় উদ্ধার এবং ত্রাণকার্য পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যেই ৭৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রবল বন্যায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০০ এর কাছাকাছি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। উদ্ধার করা হয়েছে ৯০ জনকে।