ধর্মান্তকরণ ঠেকাতেই হবে, দলিত এবং অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের বার্তা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। সঙ্ঘপ্রধানের মতে, ''ধর্মান্তকরণ মানুষকে তাঁর শিকড় থেকে দূরে নিয়ে যায়, তাই একযোগে এই প্রচেষ্টা রুখতে এগিয়ে আসা উচিত''।
কর্নাটকের চিত্রদুর্গা অঞ্চলে দলিত মঠ শ্রী শিবশরণ মাদারা চেন্নাইয়া আশ্রমের উদ্যোগে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সেই সভায় যোগ দিয়ে ভাগবত বলেন, “ধর্মান্তকরণ মানুষকে তাঁদের মূল এবং উত্স থেকে দূরে নিয়ে যায়। তাই আমাদের অবশ্যই ধর্মান্তকরণ রোধ করার চেষ্টা করতে হবে।”
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মনে থাকা বৈষম্য দূর করতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরই এগিয়ে আসতে বার্তা দিয়েছেন ভাগবত। তাঁর কথায়, “হিন্দু সমাজের প্রধান সমস্যা অস্পৃশ্যতা, পার্থক্য এবং অসমতা, এগুলি প্রধানত মনের মধ্যেই থাকে। এই সমস্যাগুলির উল্লেখ ধর্মগ্রন্থে নেই।”
ভাগবত বলেন, “এই সমস্যাগুলি আমাদের মনে বহু প্রজন্ম ধরে রয়ে গিয়েছে। এগুলির সমাধান হতেও তাই সময় লাগবে। আমাদের মন থেকে এগুলি দূর করার জন্য ধীরে ধীরে কাজ করে যেতে হবে।”
আরও পড়ুন- শিয়ালদহ থেকে যাত্রা শুরু মেট্রোর, কত মিনিট অন্তর মিলছে ট্রেন, কতক্ষণে পৌঁছবেন সেক্টর ফাইভ?
রাজনীতির চেয়েও ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতাকেই গুরুত্ব দেন ভাগবত। ধর্মীয় নেতারা রাজনীতিবিদদের চেয়েও আরএসএসের আরও কাছে বলে মনে করেন সঙ্ঘপ্রধান। আগাগোড়া দেওয়া ধর্মীয় ভাষণে মোহন ভাগবত হিন্দুদের একজোট হতে বার্তা দেন।
তিনি বলেন, ''যোগাযোগের অভাবে কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। হিন্দু সমাজের সব অংশকে একত্রে রাখা আমাদের দায়িত্ব। বারবার সভা-সমাবেশ এই প্রচেষ্টা আরও সহজ করবে। এটাকেই আমরা সম্প্রীতি বলি। সঙ্ঘ সেই চেষ্টাই করছে।”