Farmers Movement: কৃষক আন্দোলনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা মজবুত রাখতে দেড় দিন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল হরিয়ানা সরকার। মঙ্গলবার কারনালের ছোট সচিবালয় ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন প্রতিবাদী কৃষক সংগঠন। সেই প্রতিবাদ থেকে যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বন্ধ হওয়া ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালু হবে বুধবার রাত ১২টায়। মাঝের সময়ে বন্ধ থাকবে পরিষেবা।
সেই ঘেরাও মোকাবিলায় ট্রাফিক ব্যবস্থাও ঢেলে সাজিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ। আম্বালা-নয়া দিল্লি জাতীয় সড়ক ব্যবহারকারী নিত্যযাত্রীদের জন্য ঘোরানো হয়েছে পথ। এই রাস্তায় কোনও প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। এমনটাই জেলা পুলিশ সূত্রে খবর।
এদিকে, নির্ধারিত কর্মসূচি বদল করল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। ২৫ সেপ্টেম্বরের বদলে এবার ২৭ তারিখ ভারত বনধের ডাক দিল কৃষক সংগঠনগুলির সম্মিলিত মোর্চা।
প্রসঙ্গত, রবিবার মুজফ্ফরনগরে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত আয়োজিত হয়। সেখানে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার মুখপাত্র যোগেন্দ্র যাদব বলেন, “গত ১০০ দিন ধরে সরকারের লোকজন বলছে, কৃষকদের আন্দোলন তেজ হারাচ্ছে। কিন্তু এত বড় জমায়েতের জন্য এই শহর যথেষ্ট নয়। কোটি কোটি টাকায় দেনায় উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা ডুবে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা সেই মুজফ্ফরনগর যেখানে হিন্দু-মুসলিমের রক্তের নদী বয়েছিল। যে মানুষটা সম্প্রদায়ের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেয়, সে কখনওই দেশের আসল সন্তান হতে পারে না।” সেই মহাপঞ্চায়েত থেকেই উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকারের উৎখাতের ডাক দিয়েছে কৃষক নেতারা। কড়া বার্তা পাঠানো হয়েছে মোদী-শাহকেও।
উল্লেখ্য, কৃষক সংগঠনগুলি একত্রিত হয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ছাতার তলায় দেশজুড়ে আন্দোলন করছে। কৃষি আইনের প্রতিবাদে গত নভেম্বর মাস থেকে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। দিল্লির সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। কিন্তু ধীরে ধীরে গতি হারাচ্ছে আন্দোলন। তাই ফের আন্দোলনের তেজ বাড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিষাণ মহাপঞ্চায়েত আয়োজন করছে কৃষক সংগঠনগুলি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন