Advertisment

‘ওয়েক আপ সিদ’, বোর্ড পরীক্ষার আগে পাঞ্জাবে পড়ুয়াদের ঘুম থেকে তুলছেন শিক্ষকরাই!

‘অতিমারির সময় থেকে তাঁদের পড়াশুনা বিষয়ে সজাগ ছিলেন শিক্ষকরা। তাঁরাই এখন পরীক্ষার আগে ভোরবেলা ফোন করে জানতে চাইছে আমরা পড়ছি না ঘুমাচ্ছি।‘

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সামনেই বোর্ডের পরীক্ষা। তাই পরীক্ষা প্রস্তুতিতে পড়ুয়াদের সাহায্য কোর্টে এগিয়ে এলেন পাঞ্জাবের স্কুল শিক্ষকরা। পরীক্ষার্থীদের অ্যালার্ম হিসেবে কাজ করছেন তাঁরা। ভোর ৫টা হলেই বেজে উঠছে ফোন। আর ওপাশ থেকে হয় ইতিহাস স্যার নয়তো অঙ্ক স্যারের গলা। সম্প্রতি এমন ওয়েক আপ কল পেতে শুরু করেছে দশমের পড়ুয়া দিলপ্রীত সিং। ওপাশ থেকে স্যারের নির্দেশ পড়তে বসো, কোনও সমস্যা হলেই আমাকে ফোন কর। জানা গিয়েছে, দিলপ্রীত বাটালার একটি সরকারি স্কুলের দশমের পড়ুয়া। প্রতিদিন তাঁকে ফোন করছেন অঙ্কের শিক্ষক চরণপ্রীত সিং। একইভাবে দশমের ওপর এক পড়ুয়া আমনপ্রীত কৌর প্রতিদিন ভোর ৫টায় ফোন পাচ্ছে তার শিক্ষক অমরিন্দর সিংয়ের।

Advertisment

আমনপ্রীত জানিয়েছে, ‘অতিমারির সময় থেকে তাঁদের পড়াশুনা বিষয়ে সজাগ ছিলেন শিক্ষকরা। তাঁরাই এখন পরীক্ষার আগে ভোরবেলা ফোন করে জানতে চাইছে আমরা পড়ছি না ঘুমাচ্ছি।‘ এই উদ্যোগ বিষয়ে জলন্ধরের ইংলিশ শিক্ষক চন্দর শেখর বলেছেন, ‘আমি নিজে ভোর ৪.৩০টা নাগাদ উঠি। তারপরেই পড়ুয়াদের ফোন করতে শুরু করি। ইংলিশ নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হলে আমাকে ফোন করতে বলি।‘

তিনি জানান, শিক্ষকদের কর্তব্য পড়ুয়াদের পড়াশোনার অভ্যাসটা বজায় রাখা। খুব সকালে পড়তে বসলে প্রস্তুতি ভাল হয়। গত এক বছর প্রত্যেকেই অনলাইন ক্লাস করেছে। বোর্ড পরীক্ষার আগে যাতে প্রস্তুতিতে ঘাটতি না পড়ে, তাই এই উদ্যোগ।‘

এদিকে, পাঞ্জাবের শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, পড়ুয়াদের মধ্যে সকাল-সকাল পড়াশুনোর অভ্যাস জিইয়ে রাখতে এই উদ্যোগ। মুলত ক্লাস টিচার, প্রধান শিক্ষক আর মেন্টররা এই ফোন করছেন। জানা গিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষা সচিবের সঙ্গে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত কোনও বিভাগীয় নির্দেশ নেই। বাধ্যতামূলক করে কিছু বলা হয়নি। স্বেচ্ছায় এই উদ্যোগ নিতে শিক্ষকদের আহবান করা হয়েছে। এমনটাই শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।  

Punjab Online Class Board Exam
Advertisment