Advertisment

বাবাকে সমঝে দিতেই? ফের কার্তির দরজায় সিবিআই

মুম্বই, ওড়িশা, পঞ্জাব, কর্নাটক-সহ মোট ৯টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চলছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cbi chidambaram house

দু'বছর পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ইতিমধ্যেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে কংগ্রেস। প্রশান্ত কিশোর থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দলের হাইকমান্ড আলোচনা করেছে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে রাজস্থানের উদয়পুরে চিন্তন বৈঠক করে 'নব সংকল্প' নিয়েছে দল। একটা সময় কংগ্রেসের পুরনো মুখদের মধ্যে আজ অবশ্য খুব বেশিজন শীর্ষস্তরে নেই। তবে যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রায় সকলেই গোটা দেশের কাছে পরিচিত মুখ। যেমন সলমন খুরশিদ বা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। সম্প্রতি আগের মতো কংগ্রেসের হয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেখা গিয়েছে পি চিদাম্বরমকে। অর্থ থেকে স্বরাষ্ট্র, অতীতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক সামলেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।

Advertisment

পেশায় পি চিদাম্বরম একজন আইনজীবী। তাঁর স্ত্রী নলিনী চিদাম্বরম ও ছেলে কার্তিও আইনজীবী। আবার ব্যবসায়ী হিসেবেও কার্তি চিদাম্বরম দিল্লি এবং তামিলনাড়ুতে বিশেষ পরিচিত মুখ। বিদেশে লেখাপড়া করা কার্তি চিদাম্বরম তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গার সাংসদও। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল হতেই কার্তি চিদাম্বরমের দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের বাড়ির দরজায় গিয়ে হাজির হন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, কার্তি নাকি ২৫০ চিনা নাগরিককে ভারতের ভিসা পাইয়ে দিয়েছেন। আর, এজন্য ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। সেই কারণে এই তল্লাশি।

আরও পড়ুন- সবধর্মের প্রার্থনাস্থল হোক জ্ঞানবাপী, তসলিমার টুইটে বিতর্কে ঘি

সিবিআইয়ের দাবি, শুধু কার্তির বাড়িতেই না। এই মামলায় দেশের বিভিন্ন শহরে তাঁদের দল হানা দিয়েছে। মুম্বই, ওড়িশা, পঞ্জাব, কর্নাটক-সহ মোট ৯টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চলছে। তার মধ্যে কার্তির বাড়িও আছে। দিল্লির লোধি এস্টেটে তাঁর বাবা পি চিদাম্বরম-সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকেন কার্তি। সেখানেও সাতসকালে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।

পালটা মুখ খুলেছেন কার্তি চিদাম্বরমও। তাঁর অভিযোগ, স্রেফ রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে সিবিআই দিয়ে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনটা অতীতেও হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই ঘুষের অভিযোগ এনেছে। কিন্তু, বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। ফের পি চিদাম্বরম রাজনীতিতে সক্রিয় হতেই শুরু হয়েছে সিবিআইয়ের তত্পরতা। কার্তির অভিযোগ, ২০১৪ সালে মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে বিরোধীদের সঙ্গে এমনটা ঘটছে। এই প্রসঙ্গে কার্তি টুইট করেছেন, 'ঠিক কতবার হয়েছে, আমি সংখ্যাটা গুলিয়ে ফেলেছি। নিশ্চয়ই রেকর্ড করেছে।'

Read full story in English

CONGRESS cbi P Chidambaram
Advertisment