দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য 'নববর্ষের উপহার' হিসাবে NFSA-এর অধীনে 81 কোটিরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে তুলে ধরে সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন সুবিধাভোগীদের খাদ্যশস্যের জন্য আর এক টাকাও দিতে হবে না। এতে প্রায় দুলাখ কোটি টাকা খরচ হবে, যার পুরো ব্যয়ভার বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৮১.৩ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণের সময় আরও এক বছরের জন্য বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে দরিদ্রদের বিনামূল্যে রেশন দিতে প্রায় দুই লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে, কেন্দ্রীয় সরকার এর পুরো বোঝা বহন করবে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন (NFSA) এর অধীনে ৮১.৩৫ কোটি দরিদ্র মানুষকে এক বছরের জন্য বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ৮১.৩ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণে ব্যয় করা ২ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক বোঝা কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে।
আরও পড়ুন: < বুস্টার ডোজ হিসাবেও নিতে পারেন ন্যাজাল ভ্যাকসিন, CoWIN অ্যাপেই রেজিস্ট্রেশন >
এই ঘোষণা করে পীযূষ গোয়েল বলেছেন যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ৮১.৩৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে বছরে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। গোয়েল আরও বলেন, NFSA-এর অধীনে দরিদ্রদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হবে। এর সঙ্গে, সরকার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ আন্না যোজনা (PMGKAY) এর মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ আন্না যোজনার মেয়াদ চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হতে চলেছে।
NFSA-এর অধীনে, দেশের গরিবরা রেশনের দোকান থেকে প্রতি কেজি ২ থেকে ৩ টাকায় যে খাদ্যশস্য কিনতেন, এখন তা এক বছরের জন্য বিনামূল্যে করা হয়েছে। NFSA-এর অধীনে, দরিদ্র মানুষরা ৩ টাকা প্রতি কেজি চাল এবং প্রতি কেজি ২ টাকায় গম পান। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে গরীবদের জন্য ‘নববর্ষের উপহা’র হিসেবে অভিহিত করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। এই প্রকল্পের অধীনে, এখন সুবিধাভোগীদের কোন মাশুল গুণতে হবে না।