ওয়ালমার্টের অ্যালিস ওয়ালটনকে শীর্ষ স্থান থেকে পদচ্যুত করলেন ল'রিয়ালের মালকিন ফ্রাসোয়াঁ বেটেনকোর্ট মায়ারস। গতবছর 'ফোর্বস' পত্রিকার সেরা দশের তালিকায় প্রথম চোখে পড়ে নামটি, তাও আবার একেবারে দু'নম্বরে। ১৯৯৭ থেকেই ছিলেন ল'রিয়াল সংস্থার বোর্ড সদস্য। ২০১৭ সালে মা লিলিয়ান বেটেনকোর্টের মৃত্যুর পর প্রচারের আলোয় আসেন ফ্রাসোয়াঁ।
গত বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে ল'রিয়ালের। আপাতত ফ্রাসোয়াঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংস্থার ৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে তাঁর কাছে। ফ্রাসোয়াঁর আগে তাঁর মা লিলিয়ান অবশ্য ১৯৮৭, অর্থাৎ যে বছর থেকে বিশ্বের ধনী মহিলাদের তালিকা প্রকাশ করতে আরম্ভ করল 'ফোর্বস', সেদিন থেকেই জায়গা করে নিতেন প্রথম দশে।
তালিকার দু'নম্বরে রয়েছেন ওয়ালমার্ট প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটনের একমাত্র কন্যা অ্যালিস ওয়ালটন। ২০১৮-র তালিকার শীর্ষে ছিলেন ইনিই। এই মুহূর্তে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে বিশ্বের ১৭ তম ধনী অ্যালিস। তিনি কিন্তু ওয়ালমার্টের সঙ্গে যুক্ত নন। ৬৯ বছর বয়সী অ্যালিসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন, উত্তেজনার আবহ না কাটতেই কর্তারপুর নিয়ে ভারত-পাক আলোচনা
ধনী মহিলাদের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন জ্যাকলিন মার্স (৭৯)। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্যান্ডি প্রস্তুতকারক সংস্থা মার্সের এক তৃতীয়াংশ লভ্যাংশের মালকিন জ্যাকলিন। ১৯১১ সালে মার্স সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জ্যাকলিনের দাদু ফ্র্যাঙ্ক মার্স। জ্যাকলিন পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আজ ২০ বছর, এবং ২০১৬ পর্যন্ত সংস্থার বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি। তাঁর ২৩.৯ বিলিয়ন ডলারের ব্যক্তিগত সম্পত্তির দৌলতে তিনি বিশ্বের ৩৩ তম ধনী ব্যক্তিও বটে।
ইয়াং হুইয়ান, চিনের ৩৭ বছর বয়সী এই মহিলা রয়েছেন তালিকায় চার নম্বরে। মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রিয়েল এস্টেট সংস্থা কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিং-এর ৫৭ শতাংশ লভ্যাংশের মালকিন তিনি।
২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে পঞ্চম ধনী মহিলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন সুজেন ক্লাটেন। গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা বিএমডব্লিউ-এর ১৯.২ শতাংশ লভ্যাংশের মালকিন তিনি।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন লরেন পাওয়েল জবস (৫৫)। স্বামী তথা অ্যাপেল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে লরেল পান ২০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ১৮.৬ বিলিয়ন ডলার, এবং 'ফোর্বস'-এর বিলিওনার তালিকায় ৫৪ নম্বরে রয়েছেন তিনি।
সপ্তম স্থানে রয়েছেন অ্যাবিগেল জনসন। ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টের মালকিনের সম্পত্তির পরিমান ১৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অষ্টম স্থানে আছেন আইরিশ ফন্টবোনা এবং তাঁর পরিবার, সম্পত্তির পরিমান ১৫.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নবম স্থানে জিনা রাইনহার্ট। হ্যানকক প্রস্পেক্টিং-এর একজিকিউটিভ ডিরেক্টর। ইনি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, সম্পত্তির পরিমাণ ১৫.২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দশম স্থানে আছেন কুয়ং সিউ হিং। কোয়াক তাক সেং-এর সহপ্রতিষ্ঠাতার সম্পত্তির পরিমাণ ১৫.১০ কোটি মার্কিন ডলার।
Read the full story in English