হিন্দু ও শিখ মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরণ ঘটানো হচ্ছে পাকিস্তানে। এ ইস্যুকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করা হোক। রাজ্যসভায় এমন দাবি উঠল।
জিরো আওয়ারে বিষয়টি উত্থাপন করেন বিজেপির কে এল মীনা। তিনি বলেন পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় অল্পবয়সী হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। পুলওয়ামা হামলার পর এ ঘটনা বেড়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, "হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে, শিখদের গুরুদ্বার থেকে বাইরে বের করে দেওয়া হচ্ছে, ১০০০ মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন, আমি যৌন হেনস্থার শিকার: সংসদে সরব ডেরেক
মীনার মতে মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে পাকিস্তান সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ নয় এবং সরকার সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্টও নয়। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময়ে সে দেশে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৩১ শতাংশ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১.২ শতাংশ।
তিনি বলেন, পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করবে ভারত। "ধর্মান্তরণ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে চাপ তৈরি করতে হবে।"
এনসিপি-র বন্দনা চবন বিভিন্ন রাজ্যে ক্লাস ওয়ানে ভর্তির বিভিন্ন বয়সের ইস্যু তোলেন এদিন রাজ্যসভায়। তিনি বলেন মহারাষ্ট্র, বিহার ও পাঞ্জাবে ক্লাস ওয়ানে ভর্তির ন্যূনতম বয়স ৬ বছর। অন্য রাজ্য গুলিতে এই বয়স পাঁচ বছর। এ ছাড়াও কোনও রাজ্যে এই বয়স হিসাব করা হয় ৩১ মার্চ তারিখ ধরে, কোনও কোনও রাজ্যে ৩০ জুন আবার এক এক রাজ্যে বয়স নির্ধারণী তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ধরা হয়।
আরও পড়ুন, কুর্সিতে ইয়েদুরাপ্পাই, ইঙ্গিত বিজেপি নেতৃত্বের
সারা রাজ্যে ক্লাস ওয়ানে ভর্তির জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়স ও একটি নির্দিষ্ট তারিখের হিসাবে ওই বয়স নির্ধারণের দাবি তোলেন তিনি।
বিজেপির সিএম রমেশ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে অনাবৃষ্টির কারণে খরার আশঙ্কার প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, দক্ষিণের রাজ্যগুলির ৪৪ শতাংশ খরার আশঙ্কায়। তার মধ্যে ১৭ শতাংশ ভয়াবহ শুখার সামনে পড়েছে। জলস্তর নিচে নামা যাওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গোদাবরী নদীর সঙ্গে কাবেরীর সংযোগের দাবি তুলে তিনি বলেন, ৩০০০ টিএমসি (হাজার মিলিয়ন কিউবিক) জল এমনিতেই সমুদ্রে চলে যায়।
আরও পড়ুন, রঞ্জন গগৈ যৌন হেনস্থা মামলা: মহিলার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগকারী নিখোঁজ
তৃণমূল কংগ্রেসের শান্তা ছেত্রী লেবং সামরিক হাসপাতাল দার্জিলিং থেকে আসামে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেন, এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত গোর্খা সামরিক কর্মীরা ভয়াবহ অসুবিধার মধ্যে পড়বেন, কারণ তাঁদের এবার চিকিৎসার জন্য বহুদূর যেতে হবে।
সিপিএমের ঝর্ণা দাস বৈদ্য দাবি করেন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের নিয়মিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে আর্থিক সহায়তা দিক কেন্দ্রীয় সরকার।
Read the Full Story in English