বিধ্বস্ত ইউক্রেন। মাঝপথেই প্রাণহাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে ডাক্তারি পড়ুয়াদের। অথৈ জলে ভবিষ্যৎ। চিন্তায় ইউক্রেন ফেরত ভারতের ডাক্তারি পড়ুয়ারা ও তাঁদের অভিভাবকরা। এই পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) শুক্রবার জানিয়েছে যে, ইউক্রেনের এমবিবিএস শিক্ষার্থীরা, যাঁরা তাদের ইন্টার্নশিপ শেষ না করেই দেশে ফিরে এসেছেন, তাঁরা এ দেশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তা করতে পারবেন।
Advertisment
ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের (এনএমসি) জারি করা সার্কুলারে উল্লেখ রয়েছে, 'যুদ্ধ বা কোভিড-১৯-এর মতো নিয়ন্ত্রণহীন জটিল পরিস্থিতির কারণে বিদেশি মেডিকেল জুয়েটদের ইন্টার্নশিপ অসম্পূর্ণ রয়েছে। সেইসব বিদেশি মেডিকেল গ্র্যাজুয়েটদের যন্ত্রণা এবং চাপের কথা বিবেচনা করে, এবং তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে ভারতে তাদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ করা হচ্ছে। রাজ্যের মেডিকেল কাউন্সিলগুলির দ্বারা এই প্রক্রিয়া করা যেতে পারে।' ২০২০ সালে মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ভেঙে দেওয়ার পরে দেশে চিকিৎসা শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করে এনএমসি।
গত বছরের নভেম্বরে কার্যকর হওয়া নতুন বিধানে বলা হয়েছে যে, বিদেশে মেডিকেল স্নাতকদের সম্পূর্ণ শিক্ষা শেষ করতে হবে, তারপর তাঁরা যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ কোর্সটি শুরু করেছিল সেখান ১২ মাসের ইন্টার্নশিপ করতে হবে। কিন্তু যুদ্ধের জেরে আপাতত সেই পরিস্থিতি নেই। ইউক্রেন ছাড়তে হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়েছে বহু মেডিক্যাল পড়ুয়া।
তবে যাঁরা এখনও ইউক্রেনে ডাক্তারি কোর্স সম্পূর্ণ করেনি তাঁদের বিষয়ে এনএমসি কোনও পদক্ষেপের ঘোষণা করেনি।
ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রে, কোনও বিদেশি মেডিকেল স্নাতককে এদেশে রাষ্ট্রীয় মেডিকেল কাউন্সিল দ্বারা ১২ মাসের জন্য ইন্টার্শিপের অনুমতি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'এফএমজি (বিদেশী মেডিকেল গ্র্যাজুয়েটদের) জন্য ইন্টার্নশিপের বরাদ্দের জন্য সর্বাধিক কোটা অবশ্যই একটি মেডিকেল কলেজে মোট অনুমোদিত আসনের সাড়ে ৭ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।'
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে, এফএমজি-দের ইন্টার্নশিপ করতে দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল কলেজগুলি কোনও মূল্য ধার্য করতে পারবে না ও এক্ষেত্রে বিদেশি পড়ুয়াদেরও ভারতীয় সমকক্ষের সমতুল্য ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।"