মানচিত্র বিতর্কের আবহে এই প্রথমবার নেপাল যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা। চলতি মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখ নেপাল সফর শ্রীংলার। বিদেশ সচিব হওয়ার পর এই প্রথমবার নেপাল সফর শ্রীংলার। উল্লেখ্য়, মানচিত্র বিতর্ক ঘিরে দু'দেশের সম্পর্ক ধাক্কা খেয়েছে। এরপর গত ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। যার জেরে দু'দেশের সম্পর্ক অনেকটাই থিতু হয় বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দু'দেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের কথা হবে। ভারত-নেপাল সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, নেপালের নয়া রাজনৈতিক মানচিত্র ঘিরে কাঠমাণ্ডু ও নয়া দিল্লির সম্পর্কে চিড় ধরেছে। লিপুলেখ, কালাপানি, লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে নেপাল, যার তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে ভারত। গত জুন মাসে নয়া মানচিত্র অনুমোদন করে নেপাল সংসদ। নেপালের এহেন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে নয়া দিল্লি জানায়, ‘এটা অসমর্থনযোগ্য়’।
মানচিত্র বিতর্কের আবহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। ওলি দাবি করেছিলেন, নেপালের মানচিত্র ইস্য়ুতে নয়াদিল্লি ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে। এদিকে, অযোধ্য়ায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর আগে ওলি দাবি করেন, ”আসল অযোধ্য ভারতে নয়, নেপালে। রাম আসলে ভারতীয়ই নন। উনি নেপালি”।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন