আহমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে বিদেশি ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ঢুলে বিদেশি ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা হোস্টেলের ঘরেও ভাংচুর চালায়।
Advertisment
রমজানের পঞ্চম দিনে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকে গতকাল রাতে নামাজ পড়ার সময় বিদেশি ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই বিষয়ে আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিকের বক্তব্য সামনে এসেছে। বিদেশি পড়ুয়াদের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক সাংবাদিকদের জানিয়েছে বলেছেন, "গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০ বিদেশি পড়ুয়া পড়াশোনা করেন। তাদের বেশিরভাগই আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। কেউ কেউ আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অন্যান্য দেশেরও।" পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকে ৭৫ জন বিদেশি ছাত্র থাকেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার নাগাদ যখন তারা তারা বাইরে নামাজ পড়ছিলেন সেই সময় প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল তাদের উপর হামলা চালায়। মূলত নামাজ পড়া নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। মামলার তদন্তে ইতিমধ্যে ৯টি টিম গঠন করা হয়েছে"।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, "বিদেশি ছাত্রদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। এমনকী হোস্টেলের রুমেও ভাংচুর চালায় তারা। পুলিশ এই ঘটনায় ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। মোট ৯ টি দল এই মামলার তদন্তে গঠন করা হয়েছে। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদেরও শীঘ্রই শনাক্ত করা হবে"। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে দুই পড়ুয়া ভর্তি রয়েছেন। যাদের একজন শ্রীলঙ্কার এবং অন্য পড়ুয়া তাজিকিস্তানের বাসিন্দা।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের ছাত্ররা শনিবার গভীর রাতের নামাজ পড়ার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে "কঠোর ব্যবস্থা"র দাবি জানানো হয়েছে । রবিবার জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে “ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনা ক্যাম্পাসের ভিতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এবিভিপি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিশ্ববিদ্যালিয় চত্ত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে। এদিকে, এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি রবিবার হামলার সমালোচনা করেছেন।