লখিমপুর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। কৃষকদের উপর গুলি চালানোয় ব্যবহৃত রাইফেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিসের, উঠে এল ফরেনসিক তদন্তে। মঙ্গলবার তদন্তে যুক্ত এক শীর্ষ পুলিশকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এটা পরিষ্কার নয় যে গুলি কবে চালানো হয়েছিল। ঘটনার দিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবর নাকি তার পরের দিন।
প্রসঙ্গত, আশিস মিশ্র ওরফে মনু লখিমপুর খেরিতে কৃষক এবং সাংবাদিক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লখিমপুরে নিহতদের প্রত্যেকেই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়। যার মধ্যে একটি গাড়ি ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিল, সেদিন কৃষকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। যদিও ময়নাতদন্তে কারও শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাব ধৃতদের চারটি অস্ত্র পরীক্ষা করে দেখেছে যেগুলি বিশেষ তদন্তকারী দল বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেগুলির মধ্যে তিনটি অস্ত্র হল আশিসের রাইফেল, অঙ্কিত দাসের পিস্তল যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অখিলেশ দাসের ভাগ্নে এবং অঙ্কিতের দেহরক্ষী লতিফের একটি বন্দুক। তিনটি অস্ত্র থেকেই সেদিন গুলি চলার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
চার নম্বর অস্ত্র যেটি অঙ্কিতের সঙ্গী সত্যপ্রকাশের, সেই রিভলভারের পরীক্ষা এখনও বাকি আছে। এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা বলেছেন, আশিসের রাইফেল তাঁর পরিবারই সিটকে দেয়। চারটি অস্ত্রই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তবে পরীক্ষায় এটা প্রমাণ হয়নি গুলি কবে চালানো হয়েছিল। অভিযুক্তদের প্রমাণ করতে হবে যে ৩ অক্টোবর কোনও গুলি চলেনি।
উল্লেখ্য, এফআইআরে অভিযোগকারী জগজিৎ সিং জানান, আশিস মিশ্র সেদিন তিনটি গাড়ির কনভয় নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তিকোনিয়াতে গাড়িগুলি দ্রুত গতিতে কৃষকদের উপর চালিয়ে দেওয়া হয়। আশিস একটি গাড়িতে বসেছিলেন। যখন কৃষকদের গাড়িতে পিষে দেওয়া হয় তখনই রাইফেল থেকে গুলি ছোঁড়া হয়।
আরও পড়ুন দীপাবলি-কাণ্ডের একসপ্তাহের মধ্যেই ফের বিষমদে মৃত্যুর অভিযোগ বিহারে!
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আশিস। তাঁর দাবি, ঘটনার সময় পৈতৃক গ্রামে একটি কুস্তির প্রতিযোগিতায় ছিলেন তিনি। তিকোনিয়া থেকে ২ কিমি দূরে বনবীরপুরে। আশিস আদৌ সত্যি বলছেন কি না তা খতিয়ে দেখছে সিট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন