Advertisment

বঙ্গবন্ধু ঘাতক বাংলাদেশি সেনা ক্যাপ্টেন গ্রেফতার

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজেকে বঙ্গবন্ধুর খুনি হিসেবেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন মাজেদ। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তিনি শেখ মুজিবর রহমানের ধানমন্ডির বাড়িতে এসে তাঁকে হত্যা করার পর আওয়ামি লিগের শীর্ষস্থানীয় চার নেতাদেরও হত্যা করেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শেখ মুজিবর রহমান। ফাইল চিত্র।

ধানমন্ডির সেই বাড়িতে আজও অক্ষত বুলেটের চিহ্ন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যার দায়ে ধৃত প্রাক্তন সেনা প্রধান আবদুল মাজেদকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল বাংলাদেশ পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে আদালতে পাঠান হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদ-সহ ৬ জন প্রাক্তন সেনা অফিসারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মাজেদ ছাড়া বাকি সকলেই এখনও পলাতক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল জানান যে মাজেদ এতদিন ভারতেই লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু লকডাউনের সময় সীমান্ত বন্ধ হওয়ার সময় তিনি ঢাকায় আসেন, তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজেকে বঙ্গবন্ধুর খুনি হিসেবেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন মাজেদ। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তিনি শেখ মুজিবর রহমানের ধানমন্ডির বাড়িতে এসে তাঁকে হত্যা করার পর আওয়ামি লিগের শীর্ষস্থানীয় চার নেতাদেরও হত্যা করেন। মাজেদের গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে মিরপুরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের নেতৃত্বে একটি খবর দেওয়া হয় যে, পুলিশ সদস্যরা যখন তাঁকে গ্রেফতার করেন সেই সময় মাজেদ মিরপুরের একটি মাজারের কাছে ছিলেন।

গ্রেফতারে পর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরখাস্ত হওয়া সেনা প্রধানকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সরকারি পক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন আদালতে জানান যে মাজেদ বিচারকের কাছে স্বীকার ক্রএন যে তিনি ভারতেই লুকিয়ে ছিলেন এবং সম্প্রতি সেখান থেকে ঢাকায় ফিরেছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের নির্ধারিত সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তার পক্ষে কোনও আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে মাজেদ এখন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন চাইতে পারেন।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Bangladesh
Advertisment