অবশেষে মুখ খুললেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। একদিন আগেই তাঁকে রাজ্যসভা সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন তিনি দেশ গঠনের জন্য আইনসভা ও বিচারব্যবস্থার মধ্যে সামঞ্জস্য গড়ে তুলতে চান।
"আমি রাজ্যসভায় মনোনয়নের বিষয়টি স্বীকার করেছি কারণ কোনও কোনও সময়ে দেশ গঠনের জন্য আইনসভা ও বিচারবিভাগকে একত্রে কাজ করা অতি জরুরি হয়ে পড়ে।"
আসামের এক নিউজ চ্যানেলকে তিনি আরও বলেন, "সংসদে আমার উপস্থিতি বিচারবিভাগের দৃষ্টিভঙ্গি আইনসভার সামনে রাখতে পারবে এবং উল্টোটাও ঘটবে।"
আরও পড়ুন: রঞ্জন গগৈয়ের অবসর পরবর্তী ‘পুনর্বাসন’ রাজ্যসভায়, সৌজন্যে মোদী সরকার
গগৈ বলেছেন তাঁর সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি রাজ্যসভায় শপথ নেবার পরে আরও বিস্তারিত ভাবে জানাবেন।
তিনি বলেন, "ঈশ্বর আমাকে সংসদের স্বাধীন কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার শক্তি দিন। আমার অনেক কিছু বলার রয়েছে, কিন্তু আমাকে সংসদে শপথ নিতে দিন, তারপর আমি মুখ খুলব।"
আরও পড়ুন: ‘শেষ স্তম্ভের পতন’? গগৈয়ের রাজ্যসভা মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন প্রাক্তন বিচারপতির
২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর অবসর নিয়েছিলেন গগৈ। তার চার মাস পরেই তাঁর মনোনয়নের কথা সামনে এসেছে। প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল, তবে পরে তিনি পদে থাকাকালীনই সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেল তাঁকে নিরপরাধ ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা-আদর্শের সঙ্গে আপস করেছেন রঞ্জন গগৈ: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যসভায় রঞ্জন গগৈয়ের মননয়নের কথা জানায়। তাতে জানানো হয়, একজন মনোনীত সদস্যের অবসরের পর যে জায়গা শূন্য হয়েছে সেখানাকার জন্য রঞ্জন গগৈকে মনোনীত করা হচ্ছে। কে টি এস তুলসীর অবসরের পর তাঁর জায়গা খালি হয়েছিল।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির সংসদের উচ্চ কক্ষের সদস্য হওয়ার ঘটনা এই নিয়ে দ্বিতীয়ার ঘটল। এর আগে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্রকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছিল কংগ্রেস। তাঁর মেয়াদকাল ছিল ১৯৯৮ থেকে ২০০৪। প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ফতিমা বিবি ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ছিলেন। আরেক প্রধান বিচারপতি পি শতশিবম ২০১৪-১৯ পর্যন্ত কেরালার রাজ্যপাল ছিলেন। বিচারপতি কে সুব্বারাও চতুর্থ রাষ্ট্রপতি পদের জন্য লড়াই করেছিলেন। বিচারপতি মহম্মদ হিদায়েতুল্লা ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত দেশের উপ রাষ্ট্রপতি ছিলেন।