খুব রেগে গিয়েছিলেন তিনি। এতটাই তাঁর রাগ যে, গায়ে হাত তুললেন। না হাত তিনি তোলেননি, পা তুলেছেন। লাথি মেরেছেন। তাও আবার যাঁকে তাঁকে নয়, এক মহিলাকে লাথি মেরেছেন। এমন কাণ্ড দেখে হতবাক সকলেই। মহিলার উপর এমন ধরনের আচরণের ভিডিও সামনে আসতেই নিন্দার বন্যা বয়ে গিয়েছে তামিলনাড়ুতে। যিনি রাগের বশে মেজাজ হারিয়ে লাথি মেরেছেন, তিনি সাধারণ মানুষ তো মোটেই নন। ডিএমকে-র প্রাক্তন কর্পোরেটর তিনি। তাঁর নাম সেলভাকুমার।
একটি বিউটি সেলুনে এক মহিলাকে ওই ডিএমকে নেতার লাথি মারার ভিডিও দেখে স্তম্ভিত সকলেই। সেলভাকুমারের প্রতি নিন্দায় সরব হয়েছেন তাঁরা। ঘটনাটি অবশ্য প্রায় পাঁচমাস আগের। মে মাসের ২৫ তারিখ একটি বিউটি সেলুনে এক মহিলাকে একবার নয়, বেশ কয়েকবার লাথি মারতে দেখা গিয়েছে ওই ডিএমকে নেতাকে। যে ভিডিও বৃহস্পতিবার সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে দক্ষিণের ওই রাজ্যে, সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে এমনটাই খবর।
আরও পড়ুন, কেরালার সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাপানউতোর অব্যাহত
৩৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি বিউটি সেলুনে এক মহিলাকে বেশ কয়েকবার সজোরে লাথি মারছেন প্রাক্তন কর্পোরেটর সেলভাকুমার। বিউটি সেলুনের অপর তিন কর্মী তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করছেন, এমনকি একাজ না করতে অনুরোধও করছেন তাঁরা। কিন্তু ডিএমকে নেতা চটে লাল। কোনও কথাই শুনছেন না। বরং ধুতি কোমরে গুঁজে ওই মহিলাকে লাথি মারছেন।
এদিকে, এই বিতর্কিত ভিডিও সামনে আসতেই তামিল রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দলের নেতার এহেন কীর্তি দেখার পর সেলভাকুমারকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মহিলাকে লাথি মারার অভিযোগে ওই ডিএমকে নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।