একটি মাদক মামলায় এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করার অভিযোগে গুজরাতের প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ১৯৯৬ সালে রাজস্থানের এক আইনজীবীকে একটি মাদক মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তে বুধবার প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটকে গ্রেফতার করা হল।
প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ডিজিপি সিআইডি(অপরাধ) আশিস ভাটিয়া বলেন,‘‘৩-৪ মাস আগে এ ঘটনার তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গুজরাত হাইকোর্টের তরফে। এরপর আমরা বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছিলাম। তদন্তে উঠে এসেছে যে, সঞ্জীব ভাট ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছিলেন। ওঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য হেফাজতে নিয়েছি। মোট ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন, কাশ্মীরে বালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত ৫
১৯৯৬ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করার অভিযোগে সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী সুমেরসিং রাজপুরোহিত। সম্প্রতি এ ঘটনার তদন্তের জন্য সিআইডিকে বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট) গঠন করতে বলা হয় গুজরাত হাইকোর্টের তরফে। ২২ বছর পর রাজস্থানের পালিতেও অভিযোগ জানান ওই আইনজীবী।
এ ঘটনায় গুজরাত হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জৈন ও সঞ্জীবের অধীনে কর্মরত অফিসারদেরও নাম যোগ করেছেন ওই আইনজীবী। সঞ্জীবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্রে ওই আইনজীবী লেখেন যে, তাঁকে অপহরণ করে একটি মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়। পালিতে বিচারপতি জৈনের বোনের একটি বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে থাকতেন তাঁর পরিবার। সেই জায়গা জোর করে খালি করার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয় বলে দাবি ওই আইনজীবীর। পরে চাপের কাছে মাথা নত করে ওই জায়গাও খালি করে দেন তিনি।
গুজরাতের পালানপুরের একটি হোটেলে এক কিলো আফিম উদ্ধার করা হয়। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ওই হোটেলের ঘরে তিনি ছিলেন না বলে দাবি করেছেন ওই আইনজীবী।
অন্যদিকে, একটি যৌন ভিডিও সংক্রান্ত ঘটনায় ২০১৫ সালে সঞ্জীব ভাটকে শো-কজ করে গুজরাতের স্বরাষ্ট্র দফতর। ২০০২ সালে দাঙ্গায় গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করেছিলেন সঞ্জীব। যার জেরে ২০১১ সালে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।