দেশে বিশ্বাস বনাম বিজ্ঞান নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার। তিনি সোমবার ইসরোর চন্দ্রযানের সাফল্যের পর বিজ্ঞানীদের মন্দিরে যাওয়াকে সমর্থন করেছেন। মাধবন নায়ার বলেছেন, অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মতো মহান বিজ্ঞানীরাও মনে করেছিলেন যে দৃশ্যমান মহাবিশ্বের বাইরে কিছু আছে এবং এটিকে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছিলেন।
চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে ইসরো বিজ্ঞানীদের মন্দির পরিদর্শন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের মধ্যে নায়ার বলেছিলেন যে এতে কোনও ভুল নেই। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের মন্দিরে যাওয়াকে কার্যত সমর্থন করে নায়ার বলেছেন যে তিনি ইসরো চেয়ারম্যানের বৈজ্ঞানিক মেজাজের সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ একমত। নায়ার বলেন, 'এটি মূলত মৌলিক সত্য অনুসন্ধানের প্রশ্ন। কেউ বাইরের জগতের দিকে তাকায়, বোঝার চেষ্টা করে এটা কী। অন্য একজন ভিতরের দিকে তাকায় আর, বোঝার চেষ্টা করে যে সে কী এবং কোথায় মিশে যাবে।' নায়ার জানান, নিজেকে উত্তেজনা থেকে মুক্তি দেওয়ার উপায় হিসেবে প্রার্থনা করা এবং উপাসনালয় পরিদর্শন করা ন্যায়সঙ্গত ব্যাপার।
এই ব্যাপারে প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, 'প্রার্থনা হল মানসিক তৃপ্তি পাওয়ার জন্য। যখনই আমরা একটি জটিল বৈজ্ঞানিক অভিযান চালাই, তখন অনেক বাধা এবং সমস্যা থাকে এবং যে কোনও সময় জিনিসগুলোয় ভুল হতে পারে। সুতরাং, শান্ত মন রাখতে এবং তারপরে বাস্তব সময়ে কী ঘটছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে, যাতে আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ সঠিক এবং সময়োপযোগী হতে পারে, সেজন্য প্রার্থনা এবং উপাসনা এবং এই সমস্ত জিনিসগুলো সাহায্য করে।'
আরও পড়ুন- আর কতদিন! জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্য হওয়ার রাস্তা আছে? কেন্দ্রকে ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন আদালতের
একইসঙ্গে ইসরো বিজ্ঞানীদের মন্দির ভ্রমণকে সমর্থন করে নায়ার জানান যে, এইজাতীয় প্রার্থনা এবং বিশ্বাস কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যে কেউ তাঁর নিজের উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতেই পারেন। নায়ার যোগ করেন, 'দেশের প্রত্যেকে, প্রতিটি নাগরিক তাঁর চিন্তাধারা, মনে দার্শনিক ভাবনা এবং একটি নির্দিষ্ট দর্শন অনুসরণের ফলে যে আত্মতৃপ্তি পান, তা অনুসরণ করার নিজস্ব অধিকার রয়েছে।'