সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আমলাদের একাংশ। তাঁদের মতে, ''সুপ্রিম কোর্ট লক্ষ্ণণরেখা ছাড়িয়ে গিয়েছে।'' শুধু তাই নয় নূপুরের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের 'জরুরি সংশোধন' প্রয়োজন বলে মত তাঁদের।
পয়গম্বরকে উদ্দেশ্য করে তাঁর করা মন্তব্যে দেশে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। একাধিক রাজ্যে সাম্প্রতিক অশান্তির পিছনে নূপুরই দায়ী বলে দিন কয়েক আগে মন্তব্য করেছিল খোদ সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী নূপুরকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। তবে শীর্ষ আদালতের সেই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে মোটেই একমত নন দেশের ১৫ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ৭৭ জন প্রাক্তন আমলা এবং আরও ২৫ প্রবীণ নাগরিক।
নূপুর সম্পর্কে সর্বোচ্চ আদালতের বক্তব্যকে দেশের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে খোলা চিঠিতে লিখেছেন তাঁরা। অবিলম্বে নূপুর সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ সংশোধনেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ''এর আগেও বহু দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করা হয়েছে। এই মন্তব্যগুলি বৃহত্তম গণতন্ত্রের বিচার ব্যবস্থায় অমার্জনীয় দাগ। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং দেশের নিরাপত্তার উপর সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতি রয়েছে। এর সংশোধন করা হোক। এই ধরনের জঘন্য সীমালঙ্ঘন বিচার বিভাগের ইতিহাসে সমান্তরাল নয়।"
আরও পড়ুন- দিল্লি থেকে গন্তব্যে না গিয়ে পাকিস্তানে নামল ভারতের বিমান, ঘটনা ঘিরে শোরগোল
নূপুর সম্পর্কে ঠিক কী বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট?
নূপুরের পয়গম্বর মন্তব্যে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। রাজ্যে-রাজ্যে একের পর এক থানায় দায়ের হয় এফআইআর। সেই সব মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর। তবে সেই আবেদনের শুনানিতেই নূপুরকে তীব্র তিরস্কার করে শীর্ষ আদালত। 'ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন নূপুর'। দেশে অশান্তির জন্য তিনিই দায়ী বলে মনে করে সুপ্রিম কোর্ট। গোটা দেশের কাছে তাঁকে ক্ষমা চাইতেও পরামর্শ দেয় শীর্ষ আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ''দেশে যা ঘটছে তার জন্য এই মহিলা এককভাবে দায়ী। তিনি এবং তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য গোটা দেশে আগুন জ্বালিয়েছে।'' যদিও নূপুর সম্পর্কে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে