ফারুক আব্দুল্লার পর এবার আর এক অশীতিপর রাজনীতিবিদ করোনা (Covid-19) আক্রান্ত। সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ট্যুইট করে একথা জানান মোদী। বুধবার সকালে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিজেই ট্যুইট করেন জনতা দল (সেকুলার)-এর এই নেতা। দেবগৌড়া লেখেন, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী চেনাম্মা করোনা সংক্রমিত। নিজেদের আইসোলেশনে রেখেছি। আমার অনুরোধ গত কয়েকদিনে যারা আমাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরাও আইসোলেটেড হন।‘
এদিকে, দেশের করোনার সংক্রমণবৃদ্ধি ক্রমশ সংকটজনক পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে। যথেষ্ট উদ্বেগ দেখিয়ে এমন ঘোষণা করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি রাজ্যগুলোকে নমুনা পরীক্ষা, আইসোলেশনে জোর দেওয়া, সংস্পর্শ চিহ্নিত করা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
এদিকে, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য ৬০ হাজারের উপর ছিল। তবে, গতকালের পরিসংখ্যান কিছুটা নিম্নমুখী। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি শহরে নাইট কার্ফু সহ নানা নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বক্তব্যেই মিলেছে সেই ইঙ্গিত। আর তারপর থেকেই মহারাষ্ট্রের কর্মরত বিপুল সংখ্যায় পরিয়ায়ী শ্রমিকদের থরহরি কম্প অবস্থা। বারে বারেই তাঁদের স্মৃতিতে ফিরছে এক বছরের আগের দুর্বিসহ যন্ত্রাকর পরিস্থিতির কথা।
গহতবছর ২৪ মার্ত রাত থেকে দেশজুড়ে প্রথমে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর থেকে সময় যত এগিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা ততই শোচনীয় হয়েছিল। রোজকার বন্ধ, অর্থের সংস্থার না হওয়ায় নাওয়া খাওয়া লাটে উঠেছিল। ভাড়া গুনতে না পারায় ঘরছাড়া হয়ে রাস্তায় দিনের পর দিন কাটাতে হয়েছে পরিযায়ীদের।
সামান্য স্বস্তি দিয়ে মঙ্গলবার দেশে কমল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবারই চলতি বছরে সর্বোচ্চ ছিল সংক্রমিতের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৮ হাজার মানুষ। মঙ্গলবার সেই পরিসংখ্যান কমে হল ৫৬,২১১। এর জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১.২০ কোটি। তার মধ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বর্তমানে ৫.৪০ লক্ষ। সুস্থ হয়েছেন ১.১৩ কোটি মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭১ জনের। সবমিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১.৬২ লক্ষ হল। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। ৩১.৬৪৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন ওই রাজ্যে। এদিকে, লোকসভার সাংসদ তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, “আমার বাবার করোনা ধরা পড়েছে। শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। বাবা-সহ পরিবারের সবাই আইসোলেশনে রয়েছি। যতক্ষণ না আমরা সবাই কোভিড টেস্ট করাচ্ছি।”