Advertisment

'৫ জনকে মেরেছি, আরও মারব', পেহলু খান হত্যা নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক

এসব কথা শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, কবে আবার কাদের খুন করেছে স্বঘোষিত এই 'খুনি'?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
gyandev_ahuja

জ্ঞানদেব আহুজা

চেহারা দেখলেই মনে হবে, নেতা তো নয়, যেন কোনও পহেলওয়ান। আর, বোলচালে? যখন তখন তুলে আছাড় মারবেন বাংলার যে কোনও দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে। রাজস্থান বিজেপির সেই প্রাক্তন বিধায়ক জ্ঞানদেব আহুজার তেমনই এক হুংকারে এখন রীতিমতো চোখ কপালে দেশবাসীর।

Advertisment

'খুন কা বদলা খুন'-এর বলিউডি ঢঙে জ্ঞানদেব হুমকি দিয়েছেন, গোহত্যা দেখলেই নো আইন, নো আদালত। দাওয়াই স্রেফ পালটা খুন। গোহত্যার পালটা মানুষ খুনের জন্য তিনি নাকি কর্মীদের ছাড়ও দিয়ে রেখেছেন। এমনটাই দাবি জ্ঞানদেবের। কোনও লুকিয়ে-চুরিয়ে বা বন্ধুমহলের বাড়ফট্টাই না। একেবারে ক্যামেরার সামনে একথা জানিয়েছেন ওই প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক।

এটুকু পড়েই হয়তো ভাবছেন শেষ। না! তা কিন্তু, মোটেও নয়। আইনের জ্ঞানগম্যি শিকেয় তুলে রামগড়ের এই প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, 'আমি দলের কর্মীদের খুনের ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছি। ওদের জামিন আমরাই দেখে নেব। ওদের ছাড়ানোর দায়িত্ব আমাদের। গোরুপাচার আর গোহত্যায় যারা যুক্ত, তাদের কেউ ছাড় পাবে না। লালাওয়ান্দিই হোক বা বেহরোর, আমরা পাঁচ জনকে খুন করেছি।'

এসব কথা শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, কবে আবার কাদের খুন করেছে স্বঘোষিত এই 'খুনি'? রাজস্থানে গোহত্যাকারী সন্দেহে অতীতে রাকবর খান, পেহলু খানদের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জ্ঞানদেব কি সেসবই বলছেন? যদি বলেন, তো বাকি তিন জন কোথায়, কবে খুন হয়েছে? সেই প্রশ্নেরই এখন উত্তর খুঁজছেন অনেকেই।

এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। আতঙ্ক এবং ক্ষোভমিশ্রিত ঘৃণায় ফেটে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেছেন, 'বিজেপির ওই গোঁফধারী দানব পাঁচ জনকে পিটিয়ে খুন করা নিয়ে আস্ফালন করছে। ক্ষতিকারক লোকের যদি কোনও চেহারা থাকে, তবে সেটা এটাই।' রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোস্তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'এটাই বিজেপির আসল চেহারা। বিজেপির সন্ত্রাসের আর কোনও প্রমাণ চাই?'

আরও পড়ুন- যেন ডুবন্ত নৌকো, বড় ধাক্কা কংগ্রেসে, নির্বাচনের আগে পদত্যাগ আনন্দ শর্মার

রাজস্থানে এখন কংগ্রেসের সরকার। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজস্থানের কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করছিলেন, রাজ্যে বিজেপি সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্ঞানদেব আহুজার ভিডিও ভাইরাল হতেই ওই স্বঘোষিত 'খুনি' বিধায়কের বিরুদ্ধে ১৫৩-এ ধারায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাজস্থান বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, জ্ঞানদেব আহুজার বক্তব্যের সঙ্গে তাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওটা ওই বিজেপি বিধায়কের ব্যক্তিগত মতামত। দল পাশ থেকে সরতেই কিছুটা হলেও হুঁশ ফিরেছে জ্ঞানদেবের। সুর বদলে তিনি বলেছেন, 'আমি শুধু বলেছি, যারা গোরু পাচার করেছে, তাদেরকে আমাদের লোকেরা মারধর করেছে।'

rajasthan Lynching bjp
Advertisment