ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আরও একধাপ এগোলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার নির্বাচনে চতুর্থ রাউন্ডেও জয়ী হয়েছেন। হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেলেন অন্যতম জনপ্রতিনিধি কেমি ব্যাডেনোচ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, চার প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ঋষি সুনাক পেয়েছেন ১১৮ ভোট। পেনি মর্ডান্ট পেয়েছেন ৯২টি ভোট। লিজ ট্রাস পেয়েছেন ৮৬টি ভোট। আর কেমি ব্যাডেনোক পেয়েছেন ৫৯টি ভোট।
Advertisment
এই জয়ের ফলে শুধু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়েই নয়। বরিস জনসনের পর কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়েও একধাপ এগোলেন ঋষি সুনাক। তৃতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে ঋষি পেয়েছিলেন ১১৫ ভোট। চতুর্থ রাউন্ডে তার প্রাপ্ত ভোট নিশ্চিতরূপে বাড়ল। চতুর্থ রাউন্ডের ভোটপর্বের পর কেমি ব্যাডেনোচ ছিটকে যাওয়ায় এখন ঋষি বাদে পেনি মর্ডান্ট আর লিজ ট্রাস বুধবার ভোটের চূড়ান্ত রাউন্ডে প্রবেশ করবেন।
সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর প্রথম দুই প্রার্থী ব্রিটেনজুড়ে টোরি পার্টি বা কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মধ্যে সমর্থনের জন্য প্রচার চালাবেন। চতুর্থ রাউন্ডে ঋষি যদি আর দুটো ভোট বেশি পেতেন, কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের এক-তৃতীয়াংশের ভোট পাওয়ার গৌরব তাঁর ঝুলিতে থাকত। ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন। যে প্রার্থী ভোট সবচেয়ে বেশি পাবেন তিনিই হবেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
গত ৭ জুলাই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বরিস জনসন। আর, তারপরই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে। লাগাতার কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ একের পর এক সহকর্মী পদত্যাগ করায় বরিস জনসনেরও পদত্যাগ করা ছাড়া গতি ছিল না। সেই পদত্যাগীদের তালিকায় ঋষি সুনাকও ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে পালটা সুনাককে বিপদে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছেন বরিস জনসন। তিনি বিভিন্নপক্ষের কাছে ঋষি সুনাককে সমর্থন না-করার আবেদন জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষি সুনাকের। তাঁর বাবা চিকিৎসক। আর, মা একজন ফার্মাসিস্ট। ২০১৫ সালে ঋষি প্রথমবার এমপি হন। ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।