শনিবার ভোরে সুইৎজারল্যান্ডে চিকিৎসা চলাকালীন প্রয়াত হলেন জাতি সঙ্ঘের প্রাক্তন মহাসচিব কোফি আন্নান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। জাতি সঙ্ঘের অফিসিয়াল টুইটার পেজে টুইট করে জানানো হয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী আন্নানের মৃত্যুর খবর। কোফি আন্নান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও খবর সুনিশ্চিত করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ যদিও এখনও জানানো হয়নি।
Advertisment
জাতি সঙ্ঘের পক্ষ থেকে একটি টুইটে শোক প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, "দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এক মহান নেতাকে হারিয়ে আমরা মর্মাহত"। টুইট করে শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে কোফি আন্নান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও।
It is with immense sadness that the Annan family and the Kofi Annan Foundation announce that Kofi Annan, former Secretary General of the United Nations and Nobel Peace Laureate, passed away peacefully on Saturday 18th August after a short illness... pic.twitter.com/42nGOxmcPZ
আন্নানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রী এবং তিন সন্তান প্রয়াত নেতার উদ্দেশে এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন, "তিনি একজন জননায়ক ছিলেন। আন্তর্জাতিকতাবাদের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন। একটা শান্তিপূর্ণ পৃথিবী দেখবেন বলে সারা জীবন লড়াই করে গেছেন।"
১৯৩৮ সালে ঘানায় জন্ম কোফি আন্নানের। ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দীর্ঘ ন'বছর দু'দফায় জাতি সঙ্ঘের মহাসচিব পদের দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ছিলেন জাতি সঙ্ঘের সপ্তম মহাসচিব। আন্নানই প্রথম নির্বাচিত মহাসচিব যিনি প্রথম জীবনে ওই সংগঠনেরই কর্মী ছিলেন। এর আগে কোনও কৃষ্ণাঙ্গ মহাসচিব পায়নি এই সংগঠন। ২০০৬ সালে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে গেলেও সিরিয়া সমস্যার সমাধান খুঁজতে জাতি সঙ্ঘের বিশেষ দূত হিসেবেও কাজ করেছিলেন আন্নান। মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে সোচ্চার হতে বিশ্বের তাবড় নেতারা তৈরি করেন 'দ্য এল্ডার্স'। এর সদস্য হন আনান। ২০১৩ তে এই সংগঠনের চেয়ারম্যানের পদে বসেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জাতি সঙ্ঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেস বলেছেন, "বিভিন্ন ক্ষেত্রেই কোফি আন্নান এবং জাতি সঙ্ঘ সমার্থক ছিল।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০১ সালে জাতি সঙ্ঘের সঙ্গে যৌথ ভাবেই নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন কোফি আন্নান।
মহাসচিবের দায়িত্বে থাকাকালীন ইরাকে মার্কিন সামরিক অভিযানের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন আন্নান। মায়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের রাস্তাও খুঁজছিলেন শেষ জীবন পর্যন্ত।