ড় বিপাকে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পর্ন স্টার মামলার পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ'য়ে শ'য়ে গোপন নথি রাখার অভিযোগ সামনে এসেছে। এবিষয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইনের পথে হাঁটতে চলেছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও ট্রাম্প তার কাছে শত শত গোপন নথিপত্র রেখেছিলেন বলে অভিযোগ । তদন্তকারী সংস্থাগুলি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাতটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা পোস্টে বলেছেন যে তিনি মঙ্গলবার মিয়ামির ফেডারেল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য একটি সমন পেয়েছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর, ন্যাশনাল আর্কাইভস দাবি করেছিল যে তিনি এবং তার দল প্রেসিডেন্ট রেকর্ড সম্পর্কিত নথি ফেরত দেবেন। তবে কয়েক মাস পর প্রায় ২০০টি নথি ফেরত দেওয়া হয়। এফবিআই ২০২২ সালের আগস্টে ট্রাম্পের বাসস্থানে অভিযান চালিয়ে ১০০ টিরও বেশি গোপনীয় নথি উদ্ধার করেছিল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যেই বড় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন তিনি। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করায় তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, 'আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে তা তিনি কখনও ভাবেননি! তিনি লিখেছেন 'এই ধরণের ঘটনা সেই ব্যক্তির সঙ্গে ঘটছে যিনি এখনও পর্যন্ত সমস্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন'। একই সঙ্গে নিজের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গেও জোরালো সওয়াল করেছেন তিনি। পাশাপাশি ট্রাম্প বলেন, 'এটি আমেরিকার ইতিহাসে একটি কালো দিন'। অতীতে যৌন নির্যাতনের একটি মামলায় তাকে জরিমানা করা হয়েছে। এখন তিনি গোপন নথি সংক্রান্ত মামলায়ও বড়সড় বিপাকে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহল।