মন্দিরের ভিতরে নমাজ পড়ছেন দুই ব্যক্তি। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে সম্প্রীতির এই সুরেই দেখা দিল বিতর্ক। মথুরার নন্দ মহল মন্দিরে যে দুই মুসলিম ব্যক্তি নমাজ পড়েছিলেন তাঁরা সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে রবিবারই এফআইআর করেছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। নমাজরত দু'জনের একজন ফৈজাল খানকে সোমবার দিল্লি থেকে গ্রেতার করা হয়েছে।
নমাজরত আরেক ব্যক্তির নাম মহম্মদ চাঁদ। গত ৩০ অক্টোবর মথুরার নন্দবাবা মন্দিরের ভিতরে নমাজ পড়েছিলেন ফয়জাল ও মহম্মদ চাঁদ। আর এই কারণেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৫ ও ৫০৫ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই দুই কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই মথুরার ব্যক্তি নন্দ মহল মন্দিরের মধ্যে নমাজ পড়েছিলেন। ফয়জাল খান ও মহম্মদ চাঁদ ছাড়াও আরও দুই ব্যক্তি অলোক রতন, নীলেশ গুপ্তার নামে এফআইআর হয়। অভিযোগ, নামজরত দুই ব্যক্তির ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন এঁরা।
দিল্লিস্থিত খুদাই খিদমতগরের সদস্য এই চার ব্যক্তি। সম্প্রীতি বাতাবরণ সৃষ্টি করতেই তাঁদের এই উদ্যোগ বলে দাবি সংস্থার। খুদাই খিদমতগরের মুখপাত্র পবন যাদব সোমবার দাবি করেছেন যে মন্দিরের কয়েকজন পদাধিকারী দুই যুবককে নমাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই দাবি অস্বীকার করছে।
চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে মন্দিরের সেবায়েতদের তরফে। পুরোহিতরা মূলত মিথ্যে কথা বলে মন্দির চত্বরে নমাজ পাঠের অভিযোগ করেছেন ওই চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমনকী এই ঘটনায় হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত লাগার তত্ত্বও খাড়া করেছে সেবায়েত মুকেশ গোস্বামী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন