বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে নয়া তথ্য মিলল। ২০১৪-১৭ সালে যে ৪ জন জইশ জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছিল, তাদের প্রশিক্ষণ করা হয়েছিল বালাকোটে জইশের ঘাঁটিতে। যেখানে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার এয়ার স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এমন তথ্যই মিলেছে সরকারি সূত্রে। ধৃত ওই ৪ জঙ্গিই পাকিস্তানি। বালাকোটে জইশের ঘাঁটিতেই তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আফগানিস্তান ও কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ওয়াকাস মনসুর নামে এক জঙ্গি দাবি করেছে, ১০০ জন তরুণদের সঙ্গে তার প্রশিক্ষণ করা হয়েছিল। ২০১৪-১৫ সালে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় মনসুর। এ প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘২০০৭ সাল থেকে উপত্যকায় সক্রিয় মনসুর। ওর সঙ্গে যে ৪০ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছিল, তাদের কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৬০ জনকে আফগানিস্তানে পাঠানো হয়। একথা মনসুর জানিয়েছে।’’
আরও পড়ুন, ভোলবদল! শীঘ্রই মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ পাকিস্তানের?
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, উপত্যকায় ২টি বড় হামলার ঘটনায় জড়িত মনসুর। ২০০৯ সালের মার্চে কুপওয়ারার কাছে লোলাব এলাকায় সেনার উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল সে। এ ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৯ সালের জুন মাসে আরেকটি হামলায় ৬ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। সে ঘটনাতেও যুক্ত মনসুর। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘২০১০ সালে পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছিল মনসুর। এরপর লস্কর দলে যোগ দিয়েছ্ল। মানসেরায় লস্কর-এ-তইবার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।’’
পাকিস্তানে জইশ-এ-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটি যে রয়েছে, সে সংক্রান্ত তথ্য বিশদে ডসিয়ার মারফৎ ইসলামাবাদের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, জইশ জঙ্গিদের জেরা করেই এ সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে ভারত। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ করানো হত। ৩ মাসের কমব্যাট কোর্স করানো হত জঙ্গিদের। যার নাম ‘দৌরা-এ-খাস’। এছাড়াও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হত, যার নাম ‘দৌরা-আল-রাদ’।
আরও পড়ুন, এয়ার স্ট্রাইকে ধ্বংস জৈশ মাদ্রাসার চার ভবন, র্যাডারে মিলল প্রমাণ
২০১৬ সালে আব্দুল রহমান মুঘল ওরফে রাজা নামের এক জইশ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেরায় রাজা জানিয়েছিল, কাশ্মীরে যেসব জঙ্গিদের পাঠানো হত, তাদের একটি কোড নাম দেওয়া হত। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রাজার কোড নাম ছিল রোমিও।
২০১৪ সালে কাশ্মীরে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরেক জইশ জঙ্গি নাসির মহম্মদ আওয়াইনকে। জেরায় নাসির জানিয়েছিল, বালাকোট ক্যাম্পে ৮০ জনেরও বেশি প্রশিক্ষক ছিল। ২০০৩ সালে রেডিও কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল নাসির। যে ঘটনায় এক সিআরপিএফ জওয়ান ও বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৫ সালে সিয়ালকোটের বাসিন্দা মহম্মদ সাজিদ গুজ্জরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর একটি হামলার ঘটনায় জড়িত গুজ্জর।
Read the full story in English