Advertisment

সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত চার, উত্তাল কাশ্মীর!

বিক্ষোভ ও পাথর ছোড়ার ঘটনায় সেনাবাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে কাশ্মীরের কুলগামে। মৃতদের মধ্যে একজনের দু সপ্তাহ পরে বিয়ের কথা ছিল। অন্য নিহতদের মধ্যে দুজন স্কুলছাত্র।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
encounter at Kulgam

সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪, ফের অশান্ত উপত্যকা

বিক্ষোভ ও পাথর ছোড়ার ঘটনায় সেনাবাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে কাশ্মীরের কুলগামে। মৃতদের মধ্যে একজনের দু সপ্তাহ পরে বিয়ের কথা ছিল। অন্য নিহতদের মধ্যে দুজন স্কুলছাত্র। এ ঘটনার জেরে আরও অশান্ত হয়েছে উপত্যকা।

Advertisment

দু সপ্তাহ বাকি ছিল বিয়ের, শারজিল আর মেহাজবিনের। কুলগামে তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল সন্ধেয় শারজিলের মৃতদেহের সামনে বসেছিলেন মেহাজবিন।  বুধবার সকালে তাঁর কাছে শারজিলের বুলেটবিদ্ধ হওয়ার খবর আসে। কুলগামের খুদওয়ানি গ্রামে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে তাদের উপর গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। এ ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শারজিলের আত্মীয়দের অভিযোগ, শারজিল বিক্ষোভে শামিল না হলেও তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। ‘‘বাড়ির চত্বরের মধ্যেই শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। ঘর থেকে বেরোনো মাত্রই তাঁর উপর গুলি চালানো হয়।’’ এমনটাই জানিয়েছেন শারজিলের সম্পর্কিত ভাই ওয়াইস আহমেদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘বেশ কিছুক্ষণ সময় অবধি ওরা (সেনাবাহিনী) শারজিলের দেহ তুলতে অবধি দেয়নি।’’

বছর ১৫র ফায়জন ইলাহি ক্লাস নাইনের ছাত্র। শোপিয়ানের মেলহোরা গ্রামের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে খুদওয়ানিতে সে পৌঁছেছিল বিক্ষোভে যোগ দিতে। তার গলায় ও পেটে আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছে তার।

মারা গেছে ক্লাস এইটের ছাত্র  বিলাল আহমেদ তান্ত্রে। নিজের গ্রাম ছেড়ে সেও বেরিয়ে পড়েছিল সকালবেলাতেই। উদ্দেশ্য বিক্ষোভে যোগদান। কৃষক পরিবারের ছেলে ১৮ বছরের বিলালের আঘাত ছিল পেটে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এদিনের ঘটনায় আজাদ আহমেদ পাল্লা নামের এক বছর তিরিশের যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি বিজবেহেরার তুলখানে। ১০ কিলোমিটার দূরের খুদওয়ানে বিক্ষোভে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। নিরাপত্তাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে মৃত্যু হয় তাঁর।

Security force
Advertisment