ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাক্ষে তাঁর পদত্যাগপত্রে দাবি করেছেন যে, তিনি শ্রীলঙ্কার সঙ্কট এড়াতে "সব সম্ভাব্য পদক্ষেপ" করেছিলেন। শনিবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির চিঠি পাঠ করা হয়। সেখানই গোটাবায়ার দাবি পার্লামেন্ট সদস্যদের জানানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার, ভারতের হাইকমিশনার গোপাল বাগলে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনার সঙ্গে দেখা করেন। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের আশ্বাস, ভারত দ্বীররাষ্ট্রে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক অবস্থার পুনরুদ্ধারের কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ভারত এই বছর শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক সহায়তার প্রধান উৎস।
শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট ২০ জুলাই নির্বাচিত হবে। নয়া প্রেসিডেন্ট রাজাপাক্ষের মেয়াদের অবশিষ্ট সময়টির (২০২৪-য়ের শেষ পর্যন্ত)জন্য কাজ করবেন। ইতিমধ্যে, প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশের অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন৷ পার্লামেন্ট্রের সদস্যরা নয়া প্রসিডেন্ট বেছে নেবেন।
কে হবেন দ্বীপরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। তা নিয়েই এখন চর্চা তুঙ্গে। উঠে আসছে চারটি নাম। প্রথমেই থাকছে বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। সামলেছেন প্রধানমন্ত্রীর পদও। রাজাপক্ষে পরিবারের বেশ ঘনিষ্ঠ রনিল। তিনি ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির সদস্য এবং এসএলপিপি থেকে তাঁর প্রতি সমর্থন রয়েছে।
চর্চার দ্বিতীয় নাম সাজিথ প্রেমাদাসা। বর্তমান লঙ্কার বিরোধী দল নেতা সাজিথ। তিনি সামগি জন বালাওয়েগয়া দলের তরফে পার্লামেন্ট সদস্য। এরপরই রয়েছে দুল্লাস আলাহাপেরুমা। দুল্লাস দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার পোদুজানা পেরামুনার সদস্য। যেহেতু এসএলপিপি রনিল বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাই দুল্লাসের নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা কম। চর্চার শেষ নাম অনুরা কুমারা দিসানায়েক। তিনি জনতা বিমুক্তি পেরামুনা দলের নেতা ও প্রাক্তন কেবিনেট মন্ত্রী।