পাঠানকোটে ফের জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করেছে? এমন প্রশ্ন ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়াল। ২০১৬ সালে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যে কায়দায় জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করেছিল, কার্যত সেই একই কায়দায় ট্যাক্সি হাইজ্যাকের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল সে এলাকায়। পাঠানকোটের মধুপুর এলাকার কাছে একটি ট্যাক্সি হাইজ্যাক করার অভিযোগ উঠেছে ৪ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবারের এই ঘটনার জেরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও এ ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গিযোগের সম্ভাবনাকে খুব একটা জোর দিয়ে দেখছে না পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু রেল স্টেশন থেকে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা মধুপুর রেলস্টেশন যাওয়ার জন্য ট্যাক্সিতে ওঠেন। পাঞ্জাবে ঢোকার পরই ট্যাক্সি নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। ট্যাক্সি চালক জানিয়েছেন যে, অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে পাঞ্জাবি ভাষায় কথা বলছিলেন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হঠাৎই অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বমি করবেন বলে ট্যাক্সি থামাতে বলেন।
আরও পড়ুন, ছত্তিসগড়ে ফের মাওবাদী হামলা, জখম ৬
এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে পাঠানকোটের এসএসপি বিবেক শীল সোনি বলেন, ‘‘আমরা কোনওকিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না, তবে এ ঘটনার চরিত্রের সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের খুব একটা মিল নেই। এটা খানিকটা ছিনতাইয়ের ঘটনা সম্ভবত।’’ অন্যদিকে, পাঞ্জাব বর্ডার রেঞ্জের আইজি এসপিএস পারমার জানিয়েছেন, ‘‘গোটা ঘটনার ফুটেজ পেয়েছি আমরা। অভিযুক্তদের শীঘ্রই পাকড়াও করা হবে।’’
ট্যাক্সি হাইজ্যাকের ঘটনার পরই পাঠানকোট এলাকায় নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানোর আগে জঙ্গিরা পাঞ্জাব পুলিশের গাড়ি ছিনতাই করে সে এলাকায় ঢুকেছিল। তাই সে ঘটনার সঙ্গে আজকের ঘটনার অনেকটা মিল থাকায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Read the full story in English