ফের রক্ত ঝরল উপত্যকায়। মঙ্গলবার কাশ্মীরে পৃথক দুটি এনকাউন্টারে মোট চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। এদিন কাশ্মীরের পুলওয়ামা ও সোপোরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জইশ-ই-মহম্মদের চার জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
গত ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে এই নিয়ে পাঁচবার উপত্যকায় জঙ্গি দমন অভিযানে নামল যৌথ বাহিনী।
উপত্যকায় জঙ্গি দমন অভিযানে নেমে ফের সাফল্য সেনার ঝুলিতে। এই নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মোট ১১ জঙ্গি নিহত হয়েছে। সেনা সূত্রে জনা গিয়েছে, চলতি বছরের হিসেব ধরলে এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মোট ১১৮ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সেনার একটি দল হানা দেয় সোপোরে। উত্তর কাশ্মীরের এই এলাকাতেই জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই মতো আগেভাবে অপারেশনের ছক কষে ফেলা হয়। সোপোরে পৌঁছেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা-পুলিশের যৌথ দলটি। এরপরেই জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। এদিকে, এলাকায় যৌথবাহিনী পৌঁছে গিয়েছে টের পেতেই লুকনো ডেরা থেকে অতর্কিতে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। রাত থেকে একটানা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে গুলির লড়াই। শেষমেশ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই জঙ্গি নিহত হয়।
আরও পড়ুন- ‘বৃহত্তর স্বার্থে সরে দাঁড়ালাম’, তৃণমূল ছেড়ে কোন লক্ষ্যে এগোচ্ছেন যশবন্ত?
অন্যদিকে, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামাতেও জঙ্গি দমন অভিযানে নামে সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনী। পুলওয়ামার তুজান গ্রামে জনা কয়েক জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই মতো এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে চলে অভিযান। তুজান গ্রামে লুকিয়েছিল জঙ্গিরা। যৌথ বাহিনী তল্লাশিতে যেতেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনা-পুলিশের যৌথ দল। শেষেমেশ বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর মৃত্যু হয় দুই জঙ্গির।
নিহত জঙ্গিদের একজনকে জইশ-ই-মহম্মদের মজিদ নাজির বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ। নিহত মজিদ উপত্যকায় একজন পুলিশ অফিসারকে খুনে জড়িত ছিল। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ডিজি বিজয় কুমারকে ঊদ্ধৃত করে পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, ''জইশ-ই-এমহম্মদের জঙ্গি মজিদ নাজির, এসআই (সাব ইন্সপেক্টর) ফারুক মীরের হত্যাকারীকে পুলওয়ামা এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে।''
আরও পড়ুন- আনিস খান মৃত্যু মামলা, নজিরবিহীন পদক্ষেপ হাইকোর্টের
উল্লেক্য, কাশ্মীর উপত্যকায় চলতি মাসে এনকাউন্টারের ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দক্ষিণ ও উত্তর কাশ্মীরে পাঁচটি পৃথক এনকাউন্টারে মোট ১১ জঙ্গি নিহত হয়েছে। কুপওয়ারায় সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় এনকাউন্টারে এক জঙ্গি গ্রেফতার ও চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। কুলগামের ডি এইচ পোরায় দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। অনন্তনাগেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩২ বিদেশি জঙ্গি-সহ মোট ১১৮ জঙ্গি নিহত হয়েছে।