চিনের বাধায় আবারও ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ হিসেবে মাসুদ আজহারের নাম ঘোষণা করা যায়নি রাষ্ট্রসংঘে। বেজিংয়ের এহেন অবস্থানের দু’দিনের মাথায় জৈশ-এ-মহম্মদ প্রধানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল ফ্রান্স। ফ্রান্সে মাসুদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। শুধু তাই নয়, জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে ইউরোপিয় ইউনিয়নের তালিকায় আজহারের নাম অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সরব হচ্ছে ফ্রান্স। সন্ত্রাস দমনে ফ্রান্স যে বরাবরই ভারতের পাশে রয়েছে, সে বার্তাও দিয়েছে সে দেশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় জড়িত মাসুদ আজহারই। এ হামলার পর ফ্রান্সই প্রথম দেশ, যারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসেবে মাসুদ আজহারের নাম অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সরব হয়। এরপর এই ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা ও ব্রিটেনও। কিন্তু গত বুধবার এ ইস্যুতে ফের আপত্তি তোলে চিন। আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসী ঘোষণায় ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ রয়েছে, এই যুক্তি দেখিয়ে বেঁকে বসে চিন। এ নিয়ে গত ১০ বছরে ৪ বার মাসুদ আজহার ইস্যুতে পথের কাঁটা হয়ে রইল ড্রাগনের দেশ। বুধবার প্রতিবেশী দেশের এহেন অবস্থান ‘হতাশাজনক’ বলে বর্ণনা করেছে নয়া দিল্লি।
আরও পড়ুন, মাসুদ আজহারকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ ঘোষণায় ফের বাধা চিনের
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ছাড়াও পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইতালি, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভূটান, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিও এ ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য নয়। পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে নয়া দিল্লি।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এক সদস্যের বাধার কারণে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইএসআইএল ও আলকায়দা নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে (১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটি) মাসুদ আজহারের নাম অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া গেল না। এ সিদ্ধান্তে ভারত “হতাশ”।
Read the full story in English