Advertisment

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি আরনো, ফুটিয়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত যন্ত্রণা

শিকড়, বিচ্ছিন্নতা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সাহসী এবং বিশ্লেষণধর্মী লেখার জন্যই বিবেচিত হলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nobel on literautre

অ্যানি আরনো

এবছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি আরনো। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ৮২ বছর বয়সি আরনো-কে 'সাহস ও বিশ্লেষণের তিক্ষ্ণতার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। যার সাহায্যে তিনি ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড়, বিচ্ছিন্নতা এবং সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন।' সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব ম্যাটস মালম বৃহস্পতিবার সুইডেনের স্টকহোমে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন।

Advertisment

এর আগে, নিয়ান্ডারথাল ডিএনএর গোপনীয়তা উন্মোচনকারী একজন বিজ্ঞানীকে সম্মান জানিয়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার দিয়ে সোমবার নোবেল কমিটি সম্মানিত করেছে। সেই পুরস্কারের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে চলতি সপ্তাহের নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। তার পর তিন বিজ্ঞানী যৌথভাবে মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে পুরস্কার জিতেছেন। তাঁরা আবিষ্কার করেছেন যে ক্ষুদ্র কণাগুলো আলাদা হয়ে গেলেও একে অপরের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখতে সক্ষম।

পুরস্কার প্রদানের তৃতীয় দিনে নোবেল কমিটি বুধবার পদার্থের অণু সংযুক্তিকরণ নিয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য তিন বিজ্ঞানীকে পুরস্কৃত করেছে। বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর শুক্রবার ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। তারপর সোমবার, ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজা ষষ্ঠ কার্লের গুস্তাফের হাত থেকে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করবেন লেখিকা। মেডেলের সঙ্গে পাবেন ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এর আগেও, একাধিকবার নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের জন্য এই লেখিকার নাম বিবেচিত হয়েছিল। তাঁকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন নারী সাহিত্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন।

আরও পড়ুন- অণু সংযুক্তিকরণ নিয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার, তিন বিজ্ঞানীকে রসায়নে নোবেল

পুরস্কার ঘোষণার পর ফরাসি সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লেখিকা। তিনি বলেন, ‘এই সম্মান পেয়ে আমি অভিভূত। এতে আমার দায়িত্ব আরও বাড়ল।’ তাঁর সাহিত্যজীবনে ২০টিরও বেশি বই লিখেছেন এই লেখিকা। কয়েক দশক ধরে ফ্রান্সের স্কুলপাঠ্যর জায়গা পেয়েছে তাঁর সাহিত্য। তাঁর লেখাকে আধুনিক ফ্রান্সের সমাজজীবনের দর্পণ বলেও অনেকে উল্লেখ করেছেন।

অ্যানি আরনোর উপন্যাসগুলো মূলত আত্মজীবনীমূলক। যৌনতা থেকে গর্ভপাত, অসুস্থতা থেকে বাবা-মায়ের মৃত্যু, লেখায় কিছুই বাদ দেননি তিনি। লা প্লেস, লে আনিস-এর মত উপন্যাসে কোথাও বাবার সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে তিনি তুলে ধরেছেন। কোথাও আবার তাঁর উপন্যাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে বর্তমান সময়, সবই উঠে এসেছে।

Read full story in English

nobel prize literature Swedish Nobel Committee
Advertisment