ছাত্র নেতা থেকে বয়স্ক মহিলা। কাউকে রেয়াত করছে না হানাহানি। পার্বত্য রাজ্য মণিপুরের পার্বত্য জেলা এবং পাদদেশীয় অঞ্চল গত কয়েকদিন ধরে এই হানাহানিতে নতুন করে উত্তপ্ত। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলেই বিভিন্ন মহলের দাবি। কিন্তু, মণিপুর সরকার বা প্রশাসন নতুন করে মৃত্যুর কোনও সংখ্যা প্রকাশ করছে না। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শুধু জানিয়েছিলেন যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তেমন বিভিন্ন অভিযানে ৪০ জন জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছে।
যদিও ওই মৃত জঙ্গিদের মৃত্যুর সময়কাল বা পরিচয় প্রকাশ করেননি বিজেপিশাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি হিসেবে নিহতের সর্বশেষ নাম জ্যাকব জামখোথাং তুথাং (২৭)। তিনি গত ২৭ মে সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর উপত্যকা জেলার সীমান্তবর্তী পার্বত্য জেলা চূড়াচাঁদপুরের টি চাভাংফাই গ্রামে নিহত হয়েছেন।
জ্যাকবের ভাই লুনখোলেটের জানিয়েছেন, হানাহানি শুরুর পর ৩ মে গ্রামের মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধরা অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। গ্রামে কেবল পুরুষরাই লুঠপাট রোখার জন্য ছিলেন। জ্যাকব হানাহানি শুরু হওয়ার ঠিক আগে একটি সরকারি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য কাকচিং জেলায় গিয়েছিলেন। হানাহানি শুরু হওয়ার পর গ্রামে ফিরে এসেছিলেন। লুনখোলেটের বলেন, 'আমাদের গ্রাম মেইতেইদের একটি গ্রামের পাশে।
দুটো গ্রাম একটি খোলা জায়গা দ্বারা বিচ্ছিন্ন। জ্যাকব এবং তাঁর দুই বন্ধু ২৭ মে গ্রামে প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুরা এসে জানায় একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। আর, জ্যাকবের বুকে গুলি লেগেছে। তাঁরা লাশ উদ্ধার করতে না-পারলেও ঘটনাটি আমাদের জানান। আমি পরের দিন লাশ উদ্ধার করে চুড়াচাঁদপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই।'
আরও পড়ুন- জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা নিয়ে বড় নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের, কী জানাল আদালত?
লুনখোলেটের জানিয়েছেন, জ্যাকব দশম শ্রেণি পর্যন্ত মারামের ডন বস্কো স্কুলে লেখাপড়া করেছেনা করেছেন। চূরাচাঁদপুরের তুইবুঙে একটি মোবাইল মেরামতের দোকানে কাজ করতেন। তার আগে চেন্নাইয়ে বিপিও সেক্টরে কাজ করেছেন। তিনি কুকি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন- হেঙ্গলেপ ইউনিটের যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন।