নতুন করে উত্তেজনার গ্রাসে পার্বত্য রাজ্য মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ইম্ফল পূর্ব জেলায়। যার জেরে কার্ফু শিথিলতা হ্রাস করা হয়েছে। ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। অগ্নিসংযোগের পরেই, মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন মণিপুরের বিজেপি সরকার কার্ফু শিথিলতা হ্রাস করেছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কার্ফু জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে, সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হয়েছিল। ইন্টারনেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাডা়নো হয়েছে আরও পাঁচ দিন। ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা কেন ফের ঘটতে শুরু করল, তা জানতেও শুরু হয়েছে তদন্ত। সঙ্গে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র রক্ষীদের টহলদারি।
নতুন বিধিনিষেধ জারির নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, 'প্রশাসনের আশঙ্কা যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা তীব্রভাবে অশান্তি ছড়াতে পারে। ঘৃণামূলক ভিডিও বার্তা প্রচার করতে পারে। জনগণের আবেগকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। যা মণিপুর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।'
প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ১০টা ৩০ নাগাদ ইম্ফল পূর্ব জেলার নিউ চেকন বাজার এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছিল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি করতে সেনা ও আধা-সামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে।
নিউ চেকন বাজার এলাকায় এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সরকার মতে, মণিপুর সাম্প্রতিক হিংসায় মৃত্যুর ঘটনা ইতিমধ্যেই ৭৪-এ পৌঁছেছে। সম্প্রতি মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় মেইতেই ও কুকি উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছিল। যার জেরে ব্যাপক হানাহানি গোটা মণিপুরে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- ফিজির সেরা সম্মানে সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী মোদী, গর্বের মুহুর্তে উচ্ছ্বসিত দেশবাসী
রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক করতে হয় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে। আধাসামরিক বাহিনী এবং সেনাবাহিনী কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবুও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এরপর বেশ কিছুদিন সব চুপচাপ থাকলেও, ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই পার্বত্য রাজ্যে।