নতুন করে অশান্ত হল বিহারের মুঙ্গের। জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে এদিন ফের বিক্ষোভ প্রদর্শন চলল। পূরবসরাই আউটপোস্টের বাইরে রাখা পুলিশের ২টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্ষিপ্ত জনতার বিরুদ্ধে। পুলিশ সুপার লিপি সিংয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এদিকে, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য়, মুঙ্গেরের দীর্ঘদিনের প্রথা বড় দুর্গা আগে বিসর্জন হবে। কিন্তু পুলিশ সোমবার মধ্যরাতের মধ্যে ২৫টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য চাপ দিতে থাকে। বহু পুজো কমিটির উদ্যোক্তা পুলিশের এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানান। পুলিশের উপর ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। এতে ২০ জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে সংগ্রামপুর, কোতয়ালি এবং কাসিমবাজারের আইসিও ছিলেন। পুলিশ ভিড়ের মধ্যে দেশি পিস্তল এবং খালি কার্তুজ উদ্ধার করে। উত্তেজনা না থামায় পুলিশ শূন্যে গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পুলিশের সেই গুলিতে এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মুঙ্গেরকাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছে হিন্দু সমাজ, নীতীশকে জেনারেল ডায়ারের সঙ্গে তুলনা তেজস্বীর
এদিকে, মুঙ্গেরে অশান্তির ঘটনায় মগধের কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক সপ্তাহের মধ্য়ে তাঁকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার মুঙ্গেরে ভোটগ্রহণ হয়েছে। মুঙ্গের পুলিশ জানিয়েছে, নতুন করে বিক্ষোভের পরই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বাটা চৌকে ৫০ জনের জমায়েত হয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছিল। এরপর বাটা চৌক ছেড়ে বিক্ষোভকারীরা জেলাশাসকের অফিসের দিকে এগোলে, আরও কয়েকজন বিক্ষোভে যোগ দেন। তাঁদের মধ্য়ে কয়েকজন রাস্তার পাশে রাখা গাড়িতে ভাঙচুল চালান বলে অভিযোগ। পরে, পূরবসরাই আউটপোস্টের বাইরে রাখা ২টি সরকারি গাড়িতে আগুন লাগান বিক্ষোভকারীরা। মুফাসসিল থানাতে ভাঙচুরও চালায় ক্ষিপ্ত জনতা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে একজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি। ১-২ দিনের মধ্য়েই মুঙ্গেরে নতুন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার কাজে যোগ দেবেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন