জুলাই অর্থাৎ পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ বা অ্যাকাডেমিক সেশন থেকেই উচ্চশিক্ষায় চালু হতে চলেছে সংরক্ষণের নয়া নিয়ম। মঙ্গলবার একথা ঘোষনা করেছেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর সাধারণ শ্রেণীর জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলেছে মোদী সরকার। সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে এবং উচ্চ শিক্ষায় এই সংরক্ষণ কার্যকর হবে। এবারে সেই সংরক্ষণ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মঙ্গলবারের এই সিদ্ধান্ত সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে উত্থাপিত করবে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, আজ থেকে ১২ বছর আগে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এধরনের সংরক্ষণের পথ খোলা হয়েছিল। তবে নয়া এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে মোদী সরকার অধ্যাদেশের (অর্ডিন্যান্স) রাস্তাতেই হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এই নয়া সংরক্ষণ লাগু করতে প্রায় ২৫ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ১১ জানুয়ারী যে রিপোর্ট দিয়েছিল মঙ্গলবার সে তথ্যই নিশ্চিত করলেন জাভেদকর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ২৫ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করতে হবে, তাও আবার বর্তমানে তফসিলি জাতী, উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণী ও সাধারণ বিভাগের জন্য সংরক্ষিত সিট বজায় রেখেই।
আরও পড়ুন, মোদী সরকারের প্রস্তাবিত ১০% সংরক্ষণ কে পাবে? কেন পাবে? কীভাবে সম্ভব?
জাভড়েকরের মঙ্গলবারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ''১২৪ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয় মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বছর থেকেই অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর সাধারণের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রযোজ্য করা হবে। সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সময় তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য সংরক্ষিত আসন যাতে ঠিক থাকে আমরা এটা নিশ্চিত করব। আসন সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।"
অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর সাধারণ শ্রেণির কোটার ক্ষেত্রে আয়ের মানদণ্ড সম্পর্কে জাভড়েকর বলেন, "অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির নিয়মই জারি থাকবে এই ক্ষেত্রেও। এছাড়াও যেসব পরিবারের সব সদস্যের মিলিত বার্ষিক আয় আট লক্ষ টাকার কম তাঁরা ‘অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর সাধারণ শ্রেণি’ হিসাবে বিবেচিত হবেন এবং সংরক্ষণের আওতায় ঠাঁই পাবেন।"
বর্তমানে আইআইটি, এনআইটি, আইআইএম-এর মতো কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তৎসহ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আসন সংখ্যা ৯.২৮ লক্ষ। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ২৫ শতাংশ আসন বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা কতদিনে বাস্তবায়িত হবে তা স্পষ্ট করা হয় নি।
পড়ুয়াদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উপরে যে অর্থনৈতিক চাপ পড়বে সে বিষয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী এতে ৪,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে।
Read the full story in English