১লা মে থেকে ১৮ বছরের ওপরে সবাইকে টিকা, বাজারেও মিলবে ভ্যাকসিন

'এবার উপসর্গ খুব কম। এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা গিয়েছে। কিন্তু আগের বার শুকনো কাশি, গাঁটে ব্যথা আর মাথাব্যাথার মতো উপসর্গ ছিল।‘

'এবার উপসর্গ খুব কম। এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা গিয়েছে। কিন্তু আগের বার শুকনো কাশি, গাঁটে ব্যথা আর মাথাব্যাথার মতো উপসর্গ ছিল।‘

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covid-19 vaccination in India, CoWin, Vacciantion Center, 18-44 years

ফাইল চিত্র

পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের ওপরে প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পাবেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সুত্রে এমনটাই খবর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনার গণটিকাকরণ কর্মসূচির তৃতীয় ধাপে গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদী সরকার। পাশাপাশি স্থানীয় চাহিদা মেটাতে রাজ্যগুলোকে আরও বেশি করে ফ্রি হ্যান্ড দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে।

Advertisment

টিকা উৎপাদককারী সংস্থাগুলোকে আরও বেশি ভায়াল উৎপাদনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক টিকা উৎপাদন সংস্থা থেকে আরও বেশি ভায়াল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণভাবে সরাসরি টিকা উৎপাদক সংস্থা থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারবে রাজ্যগুলো। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত দামে খোলাবাজারেও ছাড়তে পারবে সেই টিকা। এমন নির্দেশ গিয়েছে টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলোর কাছে।

এদিকে, সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, দেশের মোট সংক্রমণের প্রায় ৭৯% এসেছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান থেকে। এই তালিকায় পরের রাজ্যগুলো—তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গুজরাত, কেরল, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়। এদিন আইসিএমআর কর্তা মোহন ভার্গব বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। তবে এবার উপসর্গ খুব কম। এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা গিয়েছে। কিন্তু আগের বার শুকনো কাশি, গাঁটে ব্যথা আর মাথাব্যাথার মতো উপসর্গ ছিল।‘

পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের ওপরে প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পাবেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সুত্রে এমনটাই খবর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনার গণটিকাকরণ কর্মসূচির তৃতীয় ধাপে গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদী সরকার। পাশাপাশি স্থানীয় চাহিদা মেটাতে রাজ্যগুলোকে আরও বেশি করে ফ্রি হ্যান্ড দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে।

Advertisment

টিকা উৎপাদককারী সংস্থাগুলোকে আরও বেশি ভায়াল উৎপাদনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক টিকা উৎপাদন সংস্থা থেকে আরও বেশি ভায়াল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণভাবে সরাসরি টিকা উৎপাদক সংস্থা থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারবে রাজ্যগুলো। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত দামে খোলাবাজারেও ছাড়তে পারবে সেই টিকা। এমন নির্দেশ গিয়েছে টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলোর কাছে।

এদিকে, সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, দেশের মোট সংক্রমণের প্রায় ৭৯% এসেছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান থেকে। এই তালিকায় পরের রাজ্যগুলো—তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গুজরাত, কেরল, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়। এদিন আইসিএমআর কর্তা মোহন ভার্গব বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। তবে এবার উপসর্গ খুব কম। এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা গিয়েছে। কিন্তু আগের বার শুকনো কাশি, গাঁটে ব্যথা আর মাথাব্যাথার মতো উপসর্গ ছিল।‘

অপরদিকে, প্রথম পর্যায়ের করোনায় যখন বিশ্বের একাধিক দেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, তখন ভারতের মত ১৪১ কোটির দেশ কিছুটা হলেও সামলে নিয়েছিল কোভিড-১৯। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাবল্য অনেক অনেক বেশি। এতটা আশা করেনি ভারতও। আনলকের পর থেকে শিথিল হয়েছিল কোভিড বিধি। মাস্ক বিধি থেকে সামাজিক দূরত্ব সব নিয়ম উঠেছিল শিকেয়। অতএব এক অনাকাঙ্ক্ষিত আবহে এখন দেশ। যেখানে দৈনিক আক্রান্ত এদিন ২ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি। মৃত্যু ১৬০০।

কোভিড এখন আগের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক। ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কোভিড স্ট্রেনের মিলিত দাপটে ধরাশায়ী হতে হচ্ছে ভারতকে। বর্তমানে ভারতের যা পরিস্থিতি, কোনও দেশের তেমন অবস্থা নয়। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে বেডের হাহাকার, অক্সিজেন, জীবনদায়ী ওষুধ রেমডেসেভিরের আকাল। একাধিক বৈঠক হচ্ছে কেন্দ্রের রাজ্যে মধ্যে, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে। সমাধান সূত্র অধরা।

health Ministry