‘সিয়াচেন থেকে সুদান’ অপার দক্ষতায় ‘চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির’ মোকাবিলা, মহিলা আর্মি অফিসারদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ। আজ দেশের নারী শক্তির জয়জয়কার। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে দেশের মহিলারা। মহাকাশ থেকে সীমান্ত নিরাপত্তা সবক্ষেত্রেই পুরুষদের সঙ্গে ‘কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা’য় নিজেদের বারে বারে প্রমাণ করেছেন মহিলারা। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমনই এক কাহিনী আপনাদের মনে শিহরণ জাগাবে। আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
গত জানুয়ারিতে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনে প্রথমবারের মতো এক মহিলা অফিসারকে মোতায়েন করেছিল। তথ্য অনুসারে, সিয়াচেন কঠোর প্রশিক্ষণের পরে, ক্যাপ্টেন শিব চৌহানকে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে মোতায়েন করা হয়েছিল। ক্যাপ্টেন শিব চৌহানকে জানুয়ারির প্রচণ্ড শীতে সিয়াচেন হিমবাহে পোস্টিং দেওয়া হয়।
এর পাশাপাশি জঙ্গি দমনে ‘ওস্তাদ’, বায়ুসেনার মহিলা আধিকারিককে ‘ফ্রন্ট লাইন কমব্যাট ইউনিটের’দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার পাকিস্তান সীমান্তে ফ্রন্ট লাইন কমব্যাট ইউনিটের(ওয়েস্টার্ন সেক্টর) দায়িত্বে প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে উঠে এল, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শালিজা ধামির নাম। শিব চৌহান ও শালিজা ধামির আজ সারাদেশের মহিলাদের কাছে এক দৃষ্টান্ত গড়েছেন। তাদের চ্যালেঞ্জ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে পুরুষদের থেকে প্রতিযোগিতায় কোন অংশে পিছিয়ে নেই দেশের মহিলারা।
ক্যাপ্টেন শিব চৌহান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটি চ্যালেঞ্জিং, তবে আমি এর জন্য প্রশিক্ষিত। সিয়াচেন বেস ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ সম্পুর্ণ করেছি আমি’। ক্যাপ্টেন চৌহানের মতো, মেজর ভাবনা লাদাখে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘এখানে রাতের বেলা তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে’। তার কর্মজীবনের ১৩ বছর তিনি কাটিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরে।১৯ মাস লেবাননে রাষ্ট্রসংঘ মিশনেও কাজ করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, কার্তব্যপথে ৭০ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতৃত্বও দিয়েছেন
আরও পড়ুন: < International Women’s Day:শেখার তাগিদেই ‘স্বপ্ন পূরণ’, লক্ষ্যে অবিচল থেকে ‘ইতিহাস গড়লেন’ রোহিঙ্গা যুবতী >
'প্রতিটি দিনই একটি চ্যালেঞ্জ'
মেজর অভিলাশা বারাক, যিনি এলওসির কাছে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার উড়েয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন আমাদের কাছে প্রতিটি দিন একটি নতুন চ্যালেঞ্জ, এক অভিজ্ঞতাও। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রতিকূল এলাকার কাছাকাছি উড়ে যাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ।
আর্মি মেডিকেল টিমের মেজর শৈলি গেহলাওয়াত গত সাত মাস ধরে সুদানে পোস্টিং। তিনি বলেন, ‘এখানে পরিস্থিতি চোখের পলকে বদলে যায়। তবুও, এটি একটি আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা, এই মিশন আমার ধারণাই পরিবর্তন করেনি, বরং আমার কাছে এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের সব ধরণের চ্যালেঞ্জের জন্য আমাকে তৈরি করেছে’। মেজর গেহলাওয়াত গত বছরের নভেম্বরে এমন একটি চ্যালেঞ্জিং দিনের স্মরণ করেছিলেন যখন হাসপাতালে এক রাতে ১৩ জন মারা যান।