টানা তিন দিন ধরে রোজ বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। মঙ্গলবার সকালে বাণিজ্য নগরীতে পেট্রোলের দাম দাঁড়িয়েছে লিটার পিছু ৯১ টাকা ২০ পয়সা। সমান তালে বাড়ছে ডিজেলের দামও। আজ সকালে মুম্বইতে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৭৮ টাকা ৬৯ পয়সা। মহারাষ্ট্র সরকারের ভ্যাটের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে সারা দেশের মধ্যে মুম্বই শহরেই পেট্রোলের দাম সবচেয়ে বেশি। রাজধানীতে মঙ্গলবার লিটার প্রতি পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম যথাক্রমে ৮৩ টাকা ৮৫ পয়সা এবং ৭৫ টাকা ২৫ পয়সা।
কলকাতা শহরে আজ লিটার প্রতি পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সায় । ডিজেলের দাম লিটার পিছু ৭৭ টাকা ১০ পয়সা। রবিবার সারা দেশ জুড়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। ভর্তুকিহীন এলপিজি-র দাম কলকাতায় বেড়েছে ৫৮ টাকা। অর্থাৎ কলকাতা শহরে ১৪.২ লিটার গ্যাসের দাম দাঁড়াল ৯০৭ টাকা। বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ৮৮.৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৫৬২.৫০ টাকা।
আরও পড়ুন, ‘পেট্রোল জাম্প’ কী? কেনই বা হতাশ আমূল কন্যা?
পিটিআই সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী দেশের মেট্রো শহরগুলোর মধ্যে রাজধানী দিল্লিতেই ভ্যাট কম থাকায় পেট্রোলের দাম তুলনামূলক সস্তা হয়। মুম্বইয়ের সেলস ট্যাক্স সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এমনিতেই সেখানে জ্বালানি তেলের দাম বেশি থাকে। জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে আনার প্রসঙ্গে দিল্লি হাই কোর্ট বলেছে, পেট্রোল ডিজেলের দাম রোজ হেরফের করে, এটি কেন্দ্রের অর্থনৈতিক নীতির মধ্যে পরে। অতএব আদালত এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না।
একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, জ্বালানি তেল কে জিএসটি-র আওতায় আনলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে অনেকটাই। বিএসপি প্রধান মায়াবতী অবশ্য পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া দামের জন্য দায়ী করেছেন কেন্দ্রে থাকা প্রাক্তন এবং বর্তমান দুই সরকারকেই।
এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকার জ্বালানির ওপর ২ এবং ৪ শতাংশ ভ্যাট নির্দিষ্ট করেছে। সপ্তাহ তিনেক আগে পশ্চিমবঙ্গেও লিটার পিছু ১ টাকা করে ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম কমিয়েছে রাজ্য সরকার। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ কেন সেরকম কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, সেই নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় নিরুপম।