গালওয়ানের বীর শহিদদের মরণোত্তর সাহসিকতার পুরস্কার দিচ্ছে ভারত সরকার। গত বছর ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় অনুপ্রবেশকারী চিনা সেনার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণের বলিদান দেন ২০ জন বীর ভারতীয় সেনা। সেই সংঘর্ষে লালফৌজের জওয়ানরা লোহার রড, কাঁটাতার জড়ানো ব্যাট দিয়ে আঘাত করে ভারতীয় জওয়ানদের। সেই বীর শহিদদের প্রজাতন্ত্র দিবসে সম্মানিত করছে সরকার।
শহিদদের মহাবীর চক্র, বীর চক্র এবং সেনা মেডেল দেওয়া হচ্ছে। একজন সেনা সেই সংঘর্ষে প্রাণে বেঁচে যান। তাঁকেও বীর চক্র দেওয়া হচ্ছে। বিহার রেজিমেন্টের সেই জওয়ানদের নেতৃত্বে ছিলেন শহিদ কর্নেল সন্তোষ বাবু। গালওয়ানের ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় সন্তোষের। তাঁকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেনা পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁর পরিবার। শত্রু পক্ষের সামনে অকুতোভয় থেকে ভারতীয় জওয়ানদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কর্নেল। চিনা সেনার ধারালো ও মারণ অস্ত্রের সামনে পরাক্রম দেখিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সায়, LAC থেকে দ্রুত সেনা সরাতে চায় ভারত-চিন
নায়েব সুবেদার নুদুরাম সোরেন, হাবিলদার কে পালানি, নায়েক দীপক সিং, সেপাই গুরতেজ সিং এবং হাবিলদার তেজিন্দর সিংকে মরণোত্তর বীর চক্র সম্মান দেওয়া হচ্ছে। সুবেদার সঞ্জীব কুমারকে কীর্তি চক্র দেওয়া হচ্ছে। আরও চারজনকে কীর্তি চক্র দেওয়া হচ্ছে। এরা প্রত্যেকেই সিআরপিএফে কর্মরত ছিলেন। ডেপুটি কমান্ডান্ট রাহুল মাথুর-সহ তিনজনকে মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হচ্ছে। মেজর অনুজ সুদ, রাইফেলম্যান প্রণব জ্যোতি দাস এবং প্যারাট্রুপার সোনম শেরিং তামাংকে মরণোত্তর শৌর্য চক্র দেওয়া হচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন