Advertisment

নীরবে পম্পেওর ফোন জয়শঙ্করকে, কেন?

প্রায় ১০ দিন আগে পম্পেও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
লাদাখ ফেরত মোদী রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ

পম্পেও ও জয়শঙ্কর

গত দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারত-চিন উত্তেজনা অব্যাহত। ১৫ই জুন সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সংঘর্ষে প্রাণ যায় ২০ ভারতীয় সেনার। সানডে এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় কমিউনিস্ট চিনের এই আক্রমণের পর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইকেল আর পম্পেও।

Advertisment

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ দিন আগে পম্পেও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্করকে ফোন করেছিলেন। সংকটে দিল্লিকে সবরকম সহায়তার আশ্বস দেন মার্কিন বিদেশ সচিব। গত মার্চ থেকে পম্পেও ও জয়শঙ্করের মধ্যে অন্তত বার তিনেক কথা হয়েছে। তবে, গালওয়ান উপত্যকায় চিনা হামলার পর এই প্রথম তাঁদের মধ্যে ফোনে কথা হয়।

সীমান্ত সংঘর্ষ প্রশমণের জন্য ভারত-চিন সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে কৌশলগত কারণেই তাই পম্পেও-জয়শঙ্কর ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশ্যে জানানো হয়নি বলে জানতে পারা গিয়েছে।

১৫ই জুন সীমান্ত সংঘর্ষের পর ১৭ই জুন গালওয়ান নিয়ে মুখ খোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে হোয়াইট হাইসের তরফে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ নিয়ে শুধুমাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। জানিয়েছিল, 'নিয়ন্ত্রণরেখায় ২০ ভারতীয় সেনাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সংবেদনা ব্যক্ত করি। ভারত-চিন দুই পক্ষই নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে বাড়তি সেনা সরানোয় সম্মত হয়েছে। আমরা শন্তিপূর্ণ সমাধানকে সমর্থন করছি।'

গত ১০ দিনে অবশ্য ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। উল্লেখযোগ্যভাবে এর নেতৃত্বে রয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইকেল পম্পেও স্বয়ং। চিনা অ্যাপে দিল্লির নিষেধাজ্ঞা জারিকেও গত ১ জুলাই সমর্থন জানিয়েছে ওয়াশিংটন। পম্পেওর কথায়, 'সিসিপি-র নজরদারি বন্ধে ভারত চিনা অ্যাপ ব্লক করেছে। এই পদক্ষেপ ভারতেপরর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ। এচাছাড়াও এই পদক্ষেপ ভারতের সুরক্ষা ও অখণ্ডতা রক্ষার সহায়ক।'

নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনার মাঝেই প্রকাশ্য ও ব্যক্তিগতস্তরে সাউথ ব্লককে দৃঢ় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা। কার্যক্ষেত্রেও তার প্রমাণ মিলেছে। সানডে এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের ফলে নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনাদের কাঠামো নির্মাণের বিষয়টি দিল্লির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। সূত্র সানডে এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে যে, ভারত-আমেরিকা পোক্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মার্কিন প্ল্যাটফর্ম স্থাপনার ক্ষেত্রে এটি লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্ল্যাটফর্ম বলতে বোঝানো হয়েছে যে, মার্কিন যুদ্ধ বিমান ভারতীয় বায়ু সেনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার বিষয়টি।

গালওয়ান সংঘর্ষের আগে গত মাসের ২ তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদী কথা বলেছিলেন। তারই ফলশ্রুতি পম্পেও-জয়শঙ্কর ফোনালাপ বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাহারিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা নজরে এসেছে। গত রবিবারই ফিলিপিন্স সাগরে মার্কিন যুদ্ধ বিমান চক্কর কেটেছে। ইউরোপ থেকে মার্কিন বাহিনীকে দক্ষিণ এশিয়ায় মোতায়েন করার কথা জানিয়েছেন পম্পেও। এছাড়াও প্রকাশ্যে চিনের পদক্ষেপকে 'আগ্রাসী অবস্থান' বলে নিন্দা করেছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, 'এগুলোই কমিনিস্ট নেতৃত্বের মনোভাবকে স্পষ্ট করছে।'

২রা জুলাই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত সচিব আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সাধুর সঙ্গে কথা বলে ভারতকে সহায়তার কথা জানান। এই আবহেই শনিবার রাতে টুইট করে ২৪৪ তম মার্কিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ট্রাম্পের দেশকে শুভেচ্ছা জানান প্রদানমন্ত্রী মোদী। পাল্টা টুইটে মোদীকে 'বন্ধু' বলে সম্বোধন করেছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, 'আমেরিকা ভারতকে ভালোবাসে।'

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

india china standoff
Advertisment