Gautam Gambhir: ফাভিপিরাভির-কাণ্ডে দিল্লি হাইকোর্টে বেকায়দায় পড়লেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। বৃহস্পতিবার দিল্লি ড্রাগ কন্ট্রোল আদালতকে জানিয়েছে, করোনার ড্রাগ ফাভিপিরাভির সংগ্রহ এবং সংরক্ষণে গম্ভীর ফাউন্ডেশন বেআইনি পথ অবলম্বন করেছে। কোনওরকম অনুমতিপত্র ছাড়াই সেই ড্রাগ স্টক করে সরবরাহ করেছে গম্ভীর ফাউন্ডেশন।
দিন কয়েক আগে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিল, করোনার ওষুধ, অক্সিজেন, ইঞ্জেকশন রাজনীতিবিদরা স্টক করতে পারবেন না। তারপর দিল্লি ড্রাগ কন্ট্রোলের এই অভিযোগে স্পষ্টতই বেকায়দায় প্রাক্তন এই ক্রিকেটার।
সাম্প্রতিক শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, ‘গম্ভীরের সংস্থার করোনা ড্রাগ কেনা এবং স্টক করার কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই।‘
এদিকে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ও নোভোভ্যাক্সের কোভোভ্যাক্স-এর পর এবার রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি (Sputnik V) তৈরি করতে চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (DCGI)-এর কাছে আবেদন করল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
সূত্রের খবর, টিকা তৈরির আগে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের অনুমতি চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছে আদর পুনাওয়াল্লার সংস্থা সেরাম। বর্তমানে রাশিয়ার গামালেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনটি ভারতে তৈরি করছে ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবরেটরি।
কোভিশিল্ডের পাশাপাশি নোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে পুনের এই সংস্থা। তবে এখনও এই টিকা ব্যবহারেরভ ছাড়পত্র মেলেনি। তবে জুন থেকে প্রতিমাসে ১০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে সেরাম। আগামী দিনে কোভিশিল্ডের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়বে বলেই জানান হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগস্ট থেকে ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে রাশিতার ভ্যাকসিন। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ৬ ভারতীয় সংস্থা এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে ভারতে প্রায় ৩০ লক্ষ স্পুটনিক ভ্যাকসিনের ডোজ ভারতে এসেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন