'গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু-ভারতে তৈরি কাশির সিরাপের মধ্যে শক্তিশালী যোগসূত্র' রয়েছে বলেই দাবি করেছে CDC । গত বছর, গাম্বিয়ায় ‘কাশির সিরাপ সেবনে ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়। কাশির সিরাপ সেবনের ফলেই শিশুমৃত্য হয়েছে বলেই দাবি করে গাম্বিয়া প্রশাসন। হু’র তরফে জারি করা হয় সতর্কতা।
গত বছর ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে গাম্বিয়ায় ৬৬টি শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে মার্কিন মেডিসিন বিভাগের একটি নতুন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এই রিপোর্টে, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ তদন্ত গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যু এবং ভারতে তৈরি কাশির সিরাপের মধ্যে একটি ‘শক্তিশালী যোগসূত্র’ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলেই উল্লেখ রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি সতর্কতা জারি করে বলেছিল যে ভারতীয় কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দ্বারা গাম্বিয়ায় সরবরাহ করা চারটি কাশির সিরাপ যথাযথ মান পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে এবং একই সঙ্গে দাবি করা হয় গাম্বিয়ার শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে কাশির সিরাপের এক যোগসূত্র রয়েছে। এবার হু’র সেই দাবিকেই সিলমোহর দিল সিডিসি।
তদন্তে দৃঢ়ভাবে উঠে এসেছে শিশুদের মৃত্যুর কারণ গুরুতর কিডনি রোগ। আর তা সেই কাশির সিরাপে থাকা ডায়থাইলিন গ্লাইকল বা ইথিলিন গ্লাইকো্লের কারণে হয়েছিল, শুক্রবার প্রকাশিত CDC রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও WHO এর আগে গাম্বিয়ায় মৃত্যুর জন্য ভারতের তৈরি কাশির সিরাপকেই দায়ি করে। কিন্তু তারপরও ভারত এই বিষয়ে হু’র সেই দাবির বিরোধিতা করে আসছিল।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক গত বছরের ১৫ই ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচওকে বলেছিল যে আফ্রিকার গাম্বিয়ায় মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তে কোনও ভেজাল পাওয়া যায়নি। সিরাপের নমূণা সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে তা গুণগত মান পূরণ করে তৈরি হয়েছে। যদিও সিডিও সেই তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে।