জাতপাত ও অস্পৃশ্যতার সংস্কারই ভারতের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রধান বাধা। অনেক আগেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন মহাত্মী গান্ধী। তাই, চিরজীবন অহিংসা ও সত্যাগ্রহ ও দেশ থেকে জাতপাত ভিত্তিক অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের কাজ করে গিয়েছেন তিনি। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই ১৯২৪ সালে কেরলে শুরু হয় ভাইকম সত্যাগ্রহ। সেই সময় ব্রাহ্মণ না হলে মন্দিরে প্রবেশ করা যেত না। এমনকি তার আশেপাশের রাস্তা দিয়ে অপেকৃত নিচু জাতের মানুষরা চলতেও পারতেন না। তার বিরুদ্ধেই শুরু হয় জেহাদ। যা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। দীর্ঘ দিনের অহিংস এই লড়াইয়ের মাধ্যমেই জয় হাসিল সম্ভব হয়েছিল।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সেই সময় সত্যগ্রহ আন্দোলন চলছে। তারই মধ্যে ১৯২৪ সালের ৩০ মার্চ শুরু হয় ভাইকম সত্যাগ্রহ। সমাজের নীচু তলার মানুষদের হাতে হাত রেখে উচ্চ জাতের মানুষরা সম্মানরক্ষার্থে মন্দিরমুখী হয়। ব্রাহ্মণদের নির্দেশে মাঝপথে তা আটকে দেয় পুলিশ। বেশ কয়েকজন কারাবরণ করেন।
আরও পড়ুন: Gandhi Jayanti 2019 Live Updates: গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ, শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী-রাহুল গান্ধীর
এরপর, সত্যগ্রহীরা পদযাত্রা করে তিরুয়ন্তপুরমে যান। রাণীর কাছে জাতিভেদ প্রথা প্রত্যাহারের আর্জি জানান। এক বছর এইভাবে চলার পর ১৯২৫এর মার্চে গান্ধীজিকে কেরালায় গিয়ে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কংগ্রেসও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। এরপরই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে দলিতদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়।
১৯২৫ সালের ১১ মার্চ গান্ধীজি ভাইকমে পৌঁছান। আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে অহিংস পথে আন্দোলনকারীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন গান্ধী। এরপরই কিছুটা নমনীয় হয় তারা। ভিন্ন মন্দিরের চারপাশের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সব জাতির মানুষদের জন্য। বহু আন্দোলনের পর ১৯৩৬ সালে, আসে সাফল্য। মন্দিন খুলে দেওয়া হয় সকলের জন্য।
ভাইকম আন্দোলন কেরালায় সামাজিক ন্যায়ের পথ বিস্তৃত করেছিল। সমাজ থেকে অস্পৃশ্যতার কলঙ্ক ঘোচাতে সহায়তা করেছিল।
Read the full story in English