Gandhi Jayanti 2019 Updates: দেশজুড়ে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে 'জাতির জনক' মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সার্ধশত জন্ম জয়ন্তী। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ, প্রধানমন্ত্রী থেকে সমগ্র দেশবাসী এদিন 'বাপুকে' শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। মহাত্মীর সামগ্রিক জীবন অহিংসার নামান্তর। সেকথা স্মরণে রেখে ২০০৭ সালের ১৫ই জুন রাষ্ট্রসংঘ এই দিনটিকে (২রা অক্টোবর) 'আন্তর্জাতিক অহিংস' দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
বুধবার সকালেই রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনই তিনি আমেদাবাদে গান্ধীর সবরমতী আশ্রমে যান তিনি। মনে করা হচ্ছে, সেখান থেকেই একাধিক কর্মসূচির ঘোষণা করতে পারেন নমো। এদিন করে ট্যুইট করে মোদী জানিয়েছেন, 'বাপুর সার্ধশতবর্ষ জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা নিবেজদন করছি। মানবাতার প্রতি তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। তাঁর স্বপ্ন ও নতুন বিশ্ব গড়ার কাজে আমরা এগিয়ে যাব'। ২০১৪ সালে ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযান শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সন্ধ্যায় সবরমতী আশ্রমে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্য সম্পর্কে ঘোষণা করবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রায় ২০ হাজার গ্রামবাসীর। সেই সঙ্গে এখানে উপস্থিত থাকবেন গান্ধী ইনস্টিটিউটের বিশষ্ট গবেষকরা, পদ্ম সম্মানে সম্মানিত ব্যক্তিত্বরা, হাইকোর্টের বিচারপতিরা, শিক্ষাবিদ ও অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: বাংলায় হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের বেছে বেছে তাড়াব: শাহ
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও এদিন রাজঘাটে 'জাতির জনক' মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি, শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডাও।
আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে আটক ১৪৪ নাবালক, কোর্টে স্বীকার জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের
১৮৬৯ সালের আজকের দিনে গুজরাটের পরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। পেশায় আইনজীবী মোহননদাস করমচাঁদ গান্ধী এরপর দীর্ঘকাল দক্ষিণ আফ্রিকায় কাটান ও সেখানে বঞ্চিতদের অধিকারের দাবিতে আন্দোলনে উল্লেখযোগ্যভাবে শামিল হন। এরপর, তাঁর শৃঙ্খলিত দেশমাতৃকার ডাকে তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ্য সত্যাগ্রহের পথে আন্দোলন চালিয়ে যান। ভারত যে একটি জাতি- এই বোধ গঠনে মহাত্মার ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মনে করা হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজির অবদান চিরস্মরণীয়। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমেই ইংরেজ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে জাগ্রত করতে পেরেছিলেন বাপু। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি। গান্ধীর নেতৃত্বে এই লড়াই সমগ্র বিশ্বের মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার পাওয়ার আন্দোলনে অনুপ্রেরণা বলে মনে করা হয়।
Read the full story in English
Live Blog
Gandhi Jayanti 2019 Updates: গান্ধী জয়ন্তী সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট দেখার জন্য চোখ রাখুন এখানে...
কংগ্রেসের তরফ থেকে ট্যুইট করে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
Gandhi Ji embodies the kind of change that is possible when ordinary people come together to do extraordinary things.
Today as we celebrate his 150th birth anniversary we must make a pledge to continue his legacy of Satya & Ahimsa. #Gandhi150 pic.twitter.com/ptn8bnM4t3
— Congress (@INCIndia) October 2, 2019
ট্যুইটে মোদী জানান, 'বাপুর সার্ধশতবর্ষ জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা নিবেজন করছি। মানবাতার প্রতি তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। তাঁর স্বপ্ন ও নতুন বিশ্ব গড়ার কাজ চালিয়ে যাব'।
राष्ट्रपिता महात्मा गांधी को उनकी 150वीं जन्म-जयंती पर शत-शत नमन।
Tributes to beloved Bapu! On #Gandhi150, we express gratitude to Mahatma Gandhi for his everlasting contribution to humanity. We pledge to continue working hard to realise his dreams and create a better planet. pic.twitter.com/4y0HqBO762
— Narendra Modi (@narendramodi) October 2, 2019
দেশের প্রত্যেক স্কুল কলেজেই মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্ম জয়ন্তী উদাযাপিত হচ্ছে। আগামী একব্যাপী এই কর্মসূচি পপালিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
'গান্ধীজির অহিংসার বাণীই চলার পথের পাথেয়। দেশ চালাতে তাঁর আর্দশই শ্রেষ্ঠ। এই নিয়ে অন্য কারোর পরামর্শের প্রয়োজন নেই '। মেয়ো রোডে গান্ধী জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়।
সামাজিক সাম্য ও সম্প্রীতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন গান্ধীজি। গোটা জীবন ধরে এই আদর্শই বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি। আমাদেরও যা উপলব্ধি করে বাস্তবে প্রয়োগের চেষ্টা করা করতে হবে। বাপুর ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তীতে আরএসএস পক্ষে ট্যুইট করলেন সংঘ প্রধান মোহন ভগবত।
বুধবার দলের প্রধান কার্যালয় থেকে রাজঘাট পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রা করে কংগ্রেস। যার নেতৃত্ব দেন রাহুল গান্ধী। দিল্লি কংগ্রেসের তরফেও ' গান্ধী সন্দেশ বার্তা' বের হয়।